এই খিচুড়ি খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে গ্রামের তিন চারজন শিশু। কারও পেট খারাপ, তো কারও বমির সমস্যা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের গাফিলতির জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ব্লক শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক রাজেশ শর্মা।
advertisement
তিনিই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানোর ব্যবস্থা করান। স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল এরপরই গ্রামে এসে অসুস্থ শিশুদের পর্যবেক্ষণ করেন। অসুস্থদের ওআরএস খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসা প্রতিটি শিশুর বাড়ি পৌঁছে যায় মেডিক্যাল টিম। সকলেই সুস্থ আছে বলেই প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাতিমপুর গ্রামে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির বেহাল দশা। কর্মীরা অসর্তকভাবে রান্নার কাজ করছে। আর তার জন্যই খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ে গেলেও কেউ দেখতে পাচ্ছেন না। সেই খিচুড়িই খাওয়ানো হয়েছে ছোট ছোট বাচ্চাদের।
খন্ডঘোষ ব্লক শিশু উন্নয়ন প্রকল্প আধিকারিক রাজেশ শর্মা বলেন, ‘‘গ্রামবাসীর অভিযোগ ছিল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের গাফিলতির কারণেই খাবারে টিকটিকি পড়েছে। আমি এই কেন্দ্রের রেজিস্টার পর্যবেক্ষণ করে গ্রামবাসীদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। সেই অনুযায়ী একজন অঙ্গনওয়ারি কর্মী ও সহায়িকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
রাজেশ শর্মা বলেন, ‘‘৬ মাস থেকে ৬ বছরের শিশু ও তাদের মায়েরা এবং গর্ভবতী মায়েরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিকর খাবার পায়। আমি নির্দেশ দিয়ে রেখেছি, যখন খাবার বিলি হবে তার আগে দুজন গর্ভবতী মা, একজন প্রসূতি মা ও চার জন অভিভাবক কে দিয়ে স্বাক্ষর করাতে হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকা প্রতিদিনের খাবার এক চামচ করে খেয়ে দেখবেন, আর তারপরই সেই খাবার বিতরণ করা হবে। এই কেন্দ্রে সেই পদ্ধতি মানা হয়নি। তাই গাফিলতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’