আগে বর্ধমান রাজবাড়ি ছিল কাঞ্চননগরে। বন্যার কারণে তা বারবার নষ্ট হচ্ছিল। নতুন রাজবাড়ি তৈরি করা হয় শহরের উঁচু জায়গায়। সেই রাজবাড়ির নাম মহাতাব মঞ্জিল। সেখানেই এখন রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিস। রাজবাড়ির দোতলায় রয়েছে উপাচার্যের অফিস। পুরনো এই রাজবাড়িতে ভূতের আনাগোনা আজকের নয়। এই বাড়িতে ভূতের উপস্থিতির কথা বলে থাকেন প্রবীন বাসিন্দাদের অনেকেই। রাজবাড়ির কাজে যুক্ত অনেকেই বলে থাকেন, রাতে নাচঘর থেকে ভেসে আসে নুপূরের শব্দ। বিভিন্ন বাজনার আওয়াজ। পূর্ব দিকের বারান্দাতেও বার বার ভূতের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
ওই বারান্দা পার করেই উপাচার্যের বাংলো। সেখানেই নাকি রাতে বড্ড বাড়াবাড়ি করেছে ভূতেরা। মধ্যরাতেই ডেকে পাঠানো হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। তবে তাঁরা চারপাশ খুঁটিয়ে দেখেও তেমন কিছুর সন্ধান পাননি। আলো কেন জ্বলছিল নিভছিল? খতিয়ে দেখতে শুক্রবার আসেন বিদ্যুত্ বিভাগের কর্মীরা। দিনভর তাঁরা মেরামতির কাজ করেন। তবে উপাচার্য শঙ্কর কুমার নাথ বলেন, ‘তেমন কিছু নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূত নিয়ে ফিসফিসানি কিন্তু কমেনি।’
আরও পড়ুন: পাক আর্মি কনভয়ে হামলা! বালোচ বিদ্রোহীদের হাতে নিহত ৯ সেনা, ফের উত্তপ্ত বালোচিস্তান
তবে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তিরা বলছেন, ভূতের উপদ্রবে কথা ভাবার কোনও কারণ নেই। অলৌকিক কিছুও ঘটেনি বলেই মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক গাছ রয়েছে। সেসব গাছে হনুমানের দল দেখা যায়। তারাই হয়তো রাতে উপাচার্যের বাংলোর ছাদে লাফালাফি করেছে। মধ্যরাতে ছাদে শব্দ হলে চিন্তা হওয়ারই কথা। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ বা কারা আসতেই পারে। তাই নিরাপত্তা রক্ষীদের বিষয়টি জানানো হলে তা স্বাভাবিক ব্যাপার।
(Disclaimer: এই ঘটনা স্থানীয়দের মতামতের উপর ভিত্তি করে লেখা। এটি News 18 বাংলার নিজস্ব মতামত নয়। কোনওরকম অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কারকে News 18 বাংলা সমর্থন করে না।)
