চণ্ডীতলার ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকারের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কিছু নয়। বারবার চোরাগোপ্তা হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। সেই দ্বন্দ্বের বলি এবার জেলা পরিষদের মৎস্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ। যার সূত্রপাত সোমবার রাত ন'টা নাগাদ।
চণ্ডীতলার ভগবতীপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অফিসার ৷ সেইসময়ে বাইকে চড়ে অফিসে চড়াও হয় ৩-৪ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ৷ প্রত্যেকের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল ৷ অফিসারের মাথায় চপারের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা ৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে বুকে গুলিও করা হয় ৷ অপারেশন সেরে এলাকায় বোমাবাজি করে বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা ৷
advertisement
আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয় আফসার হোসেনকে। সেখান থেকে কলকাতায় এসএসকেএম-এ আনা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দেকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আফসার হোসেন। হামলার পর তিনি প্রকাশ্যেই শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনার পর এখনও থমথমে চণ্ডীতলার ভগবতীপুর। উত্তেজনা কমাতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। নামানো হয় র্যাফও।