TRENDING:

Hoogly: টানা দুবছর বন্ধ থাকার পরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম

Last Updated:

Hoogly: করোনার জন্য দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হুগলি: করোনার জন্য দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম। অবশেষে জন সাধারণের জন্য ফের খুলে দেওয়া হলো চন্দননগরের প্রাচীন ডুপ্লেক্স মিউজিয়ামটি। অতীতে চন্দননগর ছিল ফরাসি অধ্যুষিত এলাকা।পন্ডিচেরির মতো চন্দননগরও ছিল ফরাসি উপনিবেশ। চন্দননগরের ইতিহাস খুবই প্রাচীন।
টানা দুবছর বন্ধ থাকার পরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম
টানা দুবছর বন্ধ থাকার পরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম
advertisement

১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে ফ্যান ডেন ব্রোকের মানচিত্রে প্রথম চন্দননগরের নাম ও অবস্থানের উল্লেখ্য পাওয়া যায়। ১৭০৬ খ্রিস্টাব্দে হ্যামিল্টন সাহেব এই জনপদকে 'চরোনগর' বলে উল্লেখ করেন। এমনকি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাউদ্দৌলার আমলেও চন্দননগরের উল্লেখ রয়েছে। সেই সময় এই জায়গার নাম ছিল ফরাসিডাঙা। এই সব ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে ডুপ্লেক্স মিউজিয়ামে। চন্দননগর শুধুমাত্র ফরাসি উপনিবেশ ছিল না। এটি ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম কেন্দ্র বিন্দু।

advertisement

চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেছেন বিপ্লবী কানাইলালের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। স্বাধীনতা সংগ্রামের নানান ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে এই মিউজিয়ামটিতে। মিউজিয়াম এর মধ্যে প্রবেশ করার আগে গেটের সামনে প্রথম দেখা মিলবে সুবৃহৎ একটি কামানের। মিউজিয়ামের দুই ধারে রয়েছে আরও দুটি কামান। এবার মিউজিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করলে প্রথম যে কক্ষটি সামনে পড়ে সেটি ছিল ফরাসি গভর্নর এর শয়ন কক্ষ। এখানে ডুপ্লেক্সের শোয়ার খাট থেকে শুরু করে তার ব্যবহৃত নানান আসবাবপত্র রাখা রয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন- পুজোয় উপস্থিত থাকলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা! পুজোর ভোগ নিয়ে বিক্ষোভ, হুলস্থুল পটাশপুর

এছাড়াও হাজারো প্রাচীন নথি, তালপাতায় লেখা পুঁথি সবই সংরক্ষিত রয়েছে। চন্দননগরের পুরনো নাম ছিল চাঁদের নগর। কেন এই নাম, সেটি বোঝা যায় গঙ্গার দিকে মুখ করে মিউজিয়ামের ছাদে দাঁড়ালে। মিউজিয়ামের ছাদ থেকে দেখা যায় এই স্থানে গঙ্গা অর্ধ চন্দ্রাকৃতি বাঁক নিয়েছে। ফরাসি আমলে এই স্থান থেকে চন্দন কাঠের বাণিজ্য করতো ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

advertisement

তৎকালীন ফরাসি গভর্নর মশিয়ে ডুপ্লেক্স - এর বাসগৃহ ছিল এই বাড়িটি। বর্তমানে বাড়িটি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এবং মিউজিয়ামটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্য সরকার। চন্দননগরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ডুপ্লেক্স মিউজিয়াম পুনরায় খুলে যাওয়াতে খুশির হাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটক সবার মধ্যেই৷

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Hoogly: টানা দুবছর বন্ধ থাকার পরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল