দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় এখন প্লাবনের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তার মধ্যে সবার প্রথম যার নাম আসে তা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। তবে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল নয়, পাশাপাশি নাজেহাল অবস্থা বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি ইত্যাদি জেলারও। আর এসবের মধ্যেই ওদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে হাজির একের পর এক জলাধার থেকে জল ছাড়া।
advertisement
আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টিতে শুধু সবজি চাষিরা নন, চাপে ইনারাও! কীভাবে দিন কাটবে, বাড়ছে চিন্তা
হুগলির খানাকুলে বিগত কয়েক দিন ধরেই অব্যাহত দুর্ভোগ, বিশেষ করে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে সমস্যা চরমে। খানাকুলের নয়টি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলের তলায়। বাড়ি থেকে বেরিয়ে জল পেরিয়েই স্কুলে যাতায়াত করছে পড়ুয়ারা। বাজারহাট থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোনও কাজে জল পেরিয়েই চলছে যাতায়াত। গ্রামীণ রাস্তাঘাট থেকে চাষের জমি সম্পূর্ণ জলের তলায়। গ্রামের ভিতরের রাস্তাঘাট সম্পূর্ণ জলের তলায়। কোথাও এক হাঁটু, কোথাও এক কোমর সমান জল পেরিয়ে চলছে যাতায়াত। চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ। তারপর ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানোয় নতুন করে আতঙ্ক বাড়ছে বন্যাকবলিত খানাকুলে।
আরও পড়ুন: ৩০,৫০০…! কপাল খুলছে চাষিদের! আয় বাড়াতে এবার বড় পদক্ষেপ ‘এই’ জেলার কৃষি দফতরের
DVC যেমন বছরের অধিকাংশ সময় চাষাবাদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জল সরবরাহ করে থাকে, ঠিক সেই রকমই বর্ষায় অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে প্লাবিত হয় বিভিন্ন এলাকা। আর এবার যখন ডিভিসি তাদের জল ছাড়ার পরিমাণ নতুন করে বৃদ্ধি করেছে তখন এই সকল বন্যা কবলিত এলাকাতে সমস্যা আরও বেড়েছে।