ব্যান্ডেল রেল স্টেশনের পাশে শরৎচন্দ্র বহুমুখী শিক্ষা নিকেতন নামে এই বেসরকারী স্কুল। গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছিল এই স্কুল। একটা সময় ছিটে বেড়ার ঘর ছিল। পরে শরৎচন্দ্র ইন্সটিটিউটে স্কুল চলতে থাকে। অনেক ছাত্র ছাত্রী এই স্কুল থেকে পরে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই প্রাক্তনীরাও স্কুল বন্ধ হয়েছে খবর পেয়ে চলে আসেন। অভিভাবক ও প্রাক্তনীরা জানান, রেল হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ করে দিল। এখন বাচ্চারা যাবে কোথায়। ব্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় হয়েছে। সেখানে তাহলে এই বাচ্চাদের নেওয়া হোক। নাহলে বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
advertisement
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবোধ চন্দ্র দাস বলেন, ”গত ২৫ তারিখে নোটিশ দিয়েছিল রেল। আমরা কিছুটা সময় চেয়েছিলাম। ডিআরএম-এর সঙ্গেও দেখা করেছি। হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের সরাতে ঘটনাস্থলে আসে আরপিএফ-ও।”
পূর্বরেল সূত্রে খবর, রেলের জায়গায় বেআইনি দখলদারী উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ব্যান্ডেল স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে যারা অবৈধ ভাবে বসবাস করছে তাদেরও উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ব্যান্ডেল জংশন স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে রেল। তার জন্য অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানান, বেআইনি ভাবে দখল করে রাখা জায়গা উচ্ছেদ করা হচ্ছে আইনি ভাবে।
তবে এর মধ্যে বিপাকে রয়েছে স্কুলের প্রায় আড়াইশো পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ! স্কুল চালু না হলে কী হবে তাদের? একটি স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে নিয়ে গেলেও এক বছর নষ্ট ! এদিকে যাতে একটু নজরপাত করে রেল প্রশাসন, তারই কাতর আর্জি জানাচ্ছেন অভিভাবকরা।
—- রাহী হালদার