পরিবার সূত্রে খবর, গত শনিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন । সোমবার পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে বাসে চেপে রওনা দিয়েছিলেন কুম্ভের উদ্দেশে। বাসচালক হিসেবে ছিলেন অসিত দাস ও তার এক সহকারী সঙ্গী। কিন্তু মঙ্গলবার এর পর থেকে আর কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না অসিতের সঙ্গে। উৎকণ্ঠায় পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করেন আরামবাগ পুলিশের সঙ্গে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রওনা হবার সময় অসিতের সঙ্গে আরও এক চালক ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে বারানসীসংলগ্ন বিহার সীমান্তর কাছে দীর্ঘক্ষন যানজটে আটকে পড়ে তাদের গাড়িটি। সেই সময়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে অসিত বাস ছেড়ে নিচে নামেন। সেই সময়ই পুলিশের তৎপরতায় যানজট কাটে। পুলিশের তাড়ায় অন্যচালক বাসটি নিয়ে এগিয়ে যান। অসিত তারপরে আর বাসটি ধরতে পারিনি। মঙ্গলবার রাতে সেই সমস্ত কথা টেলিফোন মারফত বাড়ির লোককে জানিয়েও ছিল অসিত। তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় তার ফোন।
শনিবার বিকেলে আরামবাগ পুলিশ বিহারের রেল পুলিশ মারফত খবর পান, চলন্ত ট্রেন ধরতে গিয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। তাঁর পকেটে থাকার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে তাকে সনাক্ত করা গেছে। সেই খবর বাড়ির কাছে পৌঁছাতেই গভীর শোকের ছায়া গোটা পরিবারের মধ্যে। রোজগারের তাগিদে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কুম্ভ যাওয়ার আগেই মৃত্যু হল হুগলির যুবকের। ছেলেহারা গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে এই খবর পাওয়ার পরে।
রাহী হালদার