TRENDING:

পুরসভার টাকা মেরে পকেট ভরছিলেন অস্থায়ী কর্মী! বাগিয়েছেন কয়েক লক্ষ, অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল

Last Updated:

Chinsurah Municipality: পুরসভার নিজস্ব তহবিলের টাকা নিয়ে জালিয়াতি। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার এক অস্থায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে উঠেছে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে তুমুল শোরগোল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
চুঁচুড়া, হুগলি, সোমনাথ ঘোষ: চুঁচুড়া পুরসভার নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। সময়ে পুরসভার কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতি মাসে। পুরসভার নিজস্ব তহবিলের টাকা জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে অস্থায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে। শোরগোল।
চুঁচুড়া পৌরসভার এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ
চুঁচুড়া পৌরসভার এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ
advertisement

হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার আর্থিক টানাটানি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। প্রায় দুই হাজার অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন দিতে নাজেহাল হতে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। কর্মীদের পুরসভা ঘেরাও, বিক্ষোভ, কর্মবিরতি লেগেই রয়েছে। সামনেই পুজো। তার আগে বোনাস কবে হবে এখনও ঠিক নেই। এমন একটা পরিস্থিতিতে বড়সড় জালিয়াতি করে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ সামনে আসায় শোরগোল পড়েছে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বেসরকারি হোমে আবাসিক যুবতীকে শারীরিক নিগ্রহ! গ্রেফতার খোদ কর্ণধর-সহ ৪

পুরসভার কর দফতরের এক অস্থায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিউটেশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ যা পুরসভায় জমা পড়ার কথা সেই টাকা নিয়ে মিউটেশন করিয়ে দিয়েছেন কিন্তু টাকা পুরসভার তহবিলে জমা পড়েনি। বিষয়টি নজরে আসতে পুর কর্তৃপক্ষ ওই কর্মচারীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযুক্ত স্বীকার করেন, প্রায় ১৫টি এইরকম মিউটেশন তিনি করিয়ে দিয়েছেন। এক একটি মিউটেশনের ক্ষেত্রে কম করে ২৫-৩০ হাজার টাকা জমা পড়ে পুরসভায়। সেই হিসাব দেখলে কয়েক লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ঘনিয়ে আসছে বিপদ! পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে ‘এই’ পৌরসভা এলাকা! সতর্ক করলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া

পুর প্রধান অমিত রায় জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই কাজ একজনই করেছে। তাকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা থানায় এফআইআর করছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে। এর সঙ্গে যুক্ত যে বা যারা তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

advertisement

পুরসভার কর্মচারীদের তৃণমূল পরিচালিত সংগঠনের সহ-সভাপতি অসীম অধিকারী বলেন, প্রতিমাসে আমাদের বেতন নিয়ে টালবাহানা হয়। অথচ পুরসভার নিজস্ব তহবিলের যে টাকা জমা পরার কথা মিউটেশন এবং কর বাবদ দেখা যাচ্ছে সেই টাকা এইভাবে তছরুপ করা হচ্ছে। যে বা যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এটা আমাদের দাবি।

advertisement

কতজনের মিউটেশন এইভাবে করে দেওয়া হয়েছে তার কোন হিসেব এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিক কতজন সেটাও স্পষ্ট হয়নি। পুরসভাও এ বিষয়ে স্পস্ট করে কিছু জানাতে রাজি নয়। তবে পুরসভার অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, বিভিন্ন দফতরে এই ধরনের দূর্নীতি চলছে।

চেয়ারম্যানের দাবি পুলিশি তদন্ত হলেই ‘দুধ কা দুধ পানি কা পানি’ হয়ে যাবে।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পুরসভার টাকা মেরে পকেট ভরছিলেন অস্থায়ী কর্মী! বাগিয়েছেন কয়েক লক্ষ, অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল