হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার আর্থিক টানাটানি দীর্ঘদিন ধরে চলছে। প্রায় দুই হাজার অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন দিতে নাজেহাল হতে হয় পুর কর্তৃপক্ষকে। কর্মীদের পুরসভা ঘেরাও, বিক্ষোভ, কর্মবিরতি লেগেই রয়েছে। সামনেই পুজো। তার আগে বোনাস কবে হবে এখনও ঠিক নেই। এমন একটা পরিস্থিতিতে বড়সড় জালিয়াতি করে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ সামনে আসায় শোরগোল পড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বেসরকারি হোমে আবাসিক যুবতীকে শারীরিক নিগ্রহ! গ্রেফতার খোদ কর্ণধর-সহ ৪
পুরসভার কর দফতরের এক অস্থায়ী কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিউটেশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ যা পুরসভায় জমা পড়ার কথা সেই টাকা নিয়ে মিউটেশন করিয়ে দিয়েছেন কিন্তু টাকা পুরসভার তহবিলে জমা পড়েনি। বিষয়টি নজরে আসতে পুর কর্তৃপক্ষ ওই কর্মচারীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযুক্ত স্বীকার করেন, প্রায় ১৫টি এইরকম মিউটেশন তিনি করিয়ে দিয়েছেন। এক একটি মিউটেশনের ক্ষেত্রে কম করে ২৫-৩০ হাজার টাকা জমা পড়ে পুরসভায়। সেই হিসাব দেখলে কয়েক লক্ষ টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুর প্রধান অমিত রায় জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে এই কাজ একজনই করেছে। তাকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা থানায় এফআইআর করছি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে। এর সঙ্গে যুক্ত যে বা যারা তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
পুরসভার কর্মচারীদের তৃণমূল পরিচালিত সংগঠনের সহ-সভাপতি অসীম অধিকারী বলেন, প্রতিমাসে আমাদের বেতন নিয়ে টালবাহানা হয়। অথচ পুরসভার নিজস্ব তহবিলের যে টাকা জমা পরার কথা মিউটেশন এবং কর বাবদ দেখা যাচ্ছে সেই টাকা এইভাবে তছরুপ করা হচ্ছে। যে বা যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এটা আমাদের দাবি।
কতজনের মিউটেশন এইভাবে করে দেওয়া হয়েছে তার কোন হিসেব এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিক কতজন সেটাও স্পষ্ট হয়নি। পুরসভাও এ বিষয়ে স্পস্ট করে কিছু জানাতে রাজি নয়। তবে পুরসভার অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, বিভিন্ন দফতরে এই ধরনের দূর্নীতি চলছে।
চেয়ারম্যানের দাবি পুলিশি তদন্ত হলেই ‘দুধ কা দুধ পানি কা পানি’ হয়ে যাবে।