আসানসোলের চেলিডাঙা এলাকার বাসিন্দা অনিলবাবু। থাকেন এক টুকরো ভাড়া ঘরে। পাঁচ ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার। আখের রস বিক্রি করে যেটুকু উপার্জন হয় তাতেই চলে। যদিও এখন সংসার চালানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সঙ্গ দেন তাঁর ছেলে। গাড়ি চালকের কাজ করে বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু বাবার এমন হতভাগ্য কপাল ছেলেমেয়েরও মন খারাপ করে দেয় মাঝেমধ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ যেন ‘নেই’ দুনিয়া! জল, পাকা রাস্তা ছাড়াই বাঁচছে জঙ্গলমহলের এই গ্রাম
পাটনা হোমিওপ্যাথি কলেজ থেকে ১৯৯৫ সালে ডিগ্রি লাভ করেন অনিল কুমার মণ্ডল। তারপর চিকিৎসকের কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে সময় বাজারে ধারদেনা ছিল বেশ কিছু, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অন্যদিকে পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভাল ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে সংসার চালাতে চিকিৎসকের পেশা ছেড়ে বেছে নেন আখের রস বিক্রিকে। আর সেই থেকেই অনিলবাবুর স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটে।
যদিও চিকিৎসকের পেশা ছেড়ে এই কাজে আসতে সম্মানে আঘাত লাগেনি অনিলবাবুর। সংসার চালাতে দু’পয়সা উপার্জনের জন্য সব কাজই সমান ছিল তাঁর কাছে। তাই ভালবেসেই আখের রস বিক্রির পেশা চালিয়ে আসছেন তিনি। তবে এখন বয়স হয়েছে। তাই আর শরীর আগের মতো সঙ্গ দেয় না। এখন অবসর প্রয়োজন। এদিকে তাঁর শুভানুধ্যায়ী এবং দীর্ঘদিনের ক্রেতারা চান শেষ জীবনটা অনিলবাবু যেন তাঁর নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আবার হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু করেন।
নয়ন ঘোষ