দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, শীতকালের অতি প্রিয় মোয়ার নামেই বিখ্যাত এই জায়গা। তবে এই জায়গায় রয়েছে এক বিখ্যাত দোল পূর্ণিমা উদযাপনের রীতি। আজ থেকে প্রায় দুশো বছরেরও বেশি সময় আগে শুরু হয়েছিল এই দোল উৎসবের রেওয়াজ। আজও সেই ঐতিহ্য নেই এখানে পালিত হয় দোল।
advertisement
সময়টা ১৮২০ সাল। জয়নগরে তখন বিখ্যাত সাত জমিদারি পরিবারের বাস। ব্যবসা, জমি জমা ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি অশান্তি লেগেই থাকত এদের মধ্যে। এরকম সময় এই সাত পরিবারের জমিদারেরা ঠিক করেন মিলন উৎসব করার কথা। সমস্ত বিবাদ ভুলে দোল উপলক্ষ্যে তাঁরা মিলনের রঙে মেতে ওঠেন। এর আগে অবশ্য এই সাত জমিদারির মধ্যে যা কিছু নিয়েই চলত অশান্তি। ক্ষমতার লড়াই, দেখনদারির লড়াই। ব্রিটিশ আমলে এই জমিদারদের মধ্যে ঝগড়া গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। যদিও বিচারক নির্দেশ দেন, ঝগড়া নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হবে। সেখান থেকেই শুরু এই মিলনের দোল উৎসবের।
আরও পড়ুন: পুষ্টির পাওয়ার হাউজ অঙ্কুরিত মুগ, লোকে চেনে স্প্রাউট নামে! রোগমুক্ত হতে রোজ খান
ঠিক যেমন সতীনে-সতীনে ঝগড়া লেগে থাকে, তেমনই এই জমিদারদের মধ্যেও ঝগড়া লেগে থাকত সেই থেকে এই দোল উৎসবের নামকরণ করা হয় ‘সাত সতীনের দোল’ নামে। এই সাতটি দোল-মঞ্চ ছিল মোদক পরিবার, আচার্য পরিবার, মুহুরী পরিবার, বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার, চক্রবর্তী পরিবার, চৌধুরী পরিবার, ও বোস পরিবার-এর। যদিও বর্তমানে সেই সাত পরিবার থেকে এখন পাঁচ পরিবারে এসে ঠেকেছে এই উৎসবের রেওয়াজ। প্রতি বছর দোলের আগের রাতে চাঁচর উৎসবের মাধ্যমেই শুরু হয় দোল।
সুমন সাহা





