দোল পূর্ণিমার দিনই রং (Holi 2022) খেলায় মেতে ওঠেন রাজ্যবাসী। বর্ধমানের চিত্রটা সেখানে একটু অন্য রকম। আজ বর্ধমানের পথ ঘাট আর পাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক। বর্ধমানে দোল পূর্ণিমার পরের দিন পালন করা হয় দোল। পরের দিনই বর্ধমানবাসী মেতে উঠেন রং খেলার আনন্দে। বর্ধমান মহারাজার সময় থেকেই চলে আসছে এই রেওয়াজ। তার কারণ হিসেবে জানা যায়, রাজবাড়িতে রাধাগোবিন্দ জিউয়ের পুজো হতো দোলের দিন। সারাদিন পুজোর পরে আর রং খেলার সময় পাওয়া যেত না। সন্ধ্যা নেমে যেত।
advertisement
তাই তখন একটা উপায় বার করা হয়েছিল। পরের দিন তো আর পুজো থাকবে না তাই সেদিনই তাহলে রং খেলা হোক। সেই থেকেই চলে আসছে এই রেওয়াজ। রাজ নির্দেশেই বর্ধমানে দোলপূর্ণিমার দিনে খেলা হয় না রং। বরং তার পরের দিনই রং (Holi 2022) খেলার আনন্দে মাতেন আপামর বর্ধমানবাসী। সেই ঐতিহ্য আজও বহমান।
আরও পড়ুন- দিঘার সৈকতেও রঙ খেলার জোয়ার! দোল উপলক্ষে রঙিন মানুষের ভিড় সমুদ্রনগরীতে
বর্ধমান রাজবাড়ির পুরোহিত উত্তম মিশ্র জানালেন, মহারাজ মহাতাব চাঁদের সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। আজ কুল দেবতারা দোল খেলেন। দেবতাদের পায়ে আবির দেওয়া হয়। আগে দোল উপলক্ষে ভিয়েন বসতো। লুচি মালপোয়া তৈরি হতো। অগণিত প্রজার মধ্যে সেই ভোগ বিলি করা হতো। এখন সেই আড়ম্বর নেই। তবে এখনও সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদন করা হয়। দর্শনার্থীদের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন- সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা বর্ধমান রাজবাড়ির! হারাতে বসেছে পুরনো ইতিহাস
ইতিহাসবিদ সর্বজিত যশ বলেন, বর্ধমানের রাজ পরিবার লাহোর থেকে এসেছিল। দোল পূর্ণিমার দেবতার দোল হতো। সেই রীতিই চলে আসছে। আগামীকাল রঙের উৎসবে (Holi 2022) মাতবেন বাসিন্দারা।
শরদিন্দু ঘোষ
