ঘটনাটি হিঙ্গলগঞ্জের ভেটকিয়া এলাকার বাসিন্দা রেশমা খাতুনের। রেশমার অভিযোগ, বিবাহের পর থেকেই তাঁর স্বামী জামিরুল গাজী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর ওপর লাগাতার অত্যাচার চালাত।
দুর্গাপুরেই আবার! ডাক্তারি পড়ুয়ার পর শিকার এক নাবালিকা! পৈশাচিক কাজ ৫২ বছরের ব্যক্তির
রেশমার সঙ্গে এলাকারই জামিরুল গাজীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জামিরুলের পরিবার নেয় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তাঁদের এক কন্যাসন্তান জন্মায়। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই জামিরুলের চাকরির সুযোগ আসে, যার জন্য রেশমার বাবার কাছে সে দাবি করে ৫ লক্ষ টাকা। অভাবের সংসারে রেশমার বাবা দেরিতে সেই টাকা জোগাড় করতে থাকেন।
advertisement
এই সুযোগে, অভিযোগ অনুযায়ী, জামিরুল রেশমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বাড়িয়ে তোলে। রেশমার বাবা মেয়েকে বাঁচাতে শেষমেশ ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দেন জামিরুলকে, কিন্তু তাতেও নির্যাতন থামেনি।
সেই সময় রেশমা ছিলেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগ, জামিরুল ও তাঁর পরিবার তাঁকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভস্থ সন্তানকে মেরে ফেলে এবং সেই মৃত শিশুকে গর্ভপাত করিয়ে বাড়ির আঙিনায় মাটিতে পুঁতে দেয়।
এরপরও রেশমার উপর নির্যাতন থামেনি। একদিন তাঁকে মারধর করে রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাপের বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এরপর রেশমা হিঙ্গলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে—সন্তান হত্যার ও গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগে।
অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি জামিরুল গাজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাঁকে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের নির্দেশেই শুক্রবার হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ মৃত শিশুটির দেহ মাটি খুঁড়ে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়।