সখিনা বলেন, আমার নামে কোনদিনই জায়গা হবে এটা আমি ভাবতেও পারি না। নিজের মা-বাবা না হলেও কাকু কাকিমা বাবা-মার থেকেও বেশি। চোখের জল ফেলতে ফেলতে বলে সখিনা। বছর ১৩ আগে জলঙ্গীর বাসিন্দা সখিনার সাথে বিয়ে হয় হরিহর পাড়ার নুর ইসলাম এর । পেশায় রাজমিস্ত্রি নুর ইসলাম বিয়ের পর থেকেই বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য সখিনার ওপর অত্যাচার চালাত। সখিনার একটি ১০ বছরের ছেলে রয়েছে ও কোলের মেয়েটি বছর দেড়েকের। অশান্তি চরমে পৌঁছায় বছর দুয়েক আগে। স্বামী নূর ইসলাম একদিন বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। রাস্তার ধারে দুই সন্তানকে আঁকড়ে ধরে কান্নাকাটি করতে দেখেন সখিনা কে সুভাষ বাবু। সুভাষ বাবু পেশাই পুরোহিতের কাজ করে বেড়ান। তার মেয়ে কাকুলি স্বামীর বাড়িতে অত্যাচারিত হয়ে বর্তমানে তার বাড়িতেই রয়েছেন। যজমানের বাড়ি থেকে পুজো করে ফেরার পথে সখিনা কে কাঁদতে দেখে নিজে ঠিক থাকতে পারেননি। কিছু না ভেবেই সখিনাকে ও তার দুই সন্তানকে বছর দেড়েক আগেই নিজের ঘরে নিয়ে এসে তুলেছিলেন। বাঁশের বেড়া দিয়ে মাথায় ত্রিপল চাপানো ঘরে আর তিনটে প্রাণ এসে ভিড় করেছিল। সুভাষ বাবু ও তার স্ত্রী ইলা দেবীর বয়স হয়েছে। সেই কারণেই সখিনার জন্য একটা জায়গা কিনে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে চাইছিলেন। শুক্রবার সেই ইচ্ছা পূর্ণ হয়। ইলা দেবী বলেন, সামান্য সোনা ছিল তা বিক্রি করে মেয়েটার জন্য একটু জায়গা কিনে দিলাম। যদি সরকার থেকে এবার বাড়ি করে দেয় তাহলে ওর দুঃখ ঘুচবে।
advertisement
PRANAB KUMAR BANERJEE