জানা গিয়েছে শঙ্খদীপ চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন, “তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী। বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত নেপালগঞ্জে বাড়ি। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম মা গঙ্গা ফিস ট্রেডার্স। তিনি ২৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২৪০ কেজি পরিমাণে ক্রয় করে ফেরার পথে মগরাহাট থানার চকদহের কাছে গাড়িটি আটকায় এবং পরীক্ষা করে।”
আরও পড়ুন: ফের ঘূর্ণাবর্তের জের, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ ১২ জেলায়! আবহাওয়ার বড় খবর
advertisement
এদিকে এই ঘটনার পর মগরাহাট থানার পুলিশ আইন মেনে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টকে খবর দিয়ে মাছগুলি নগেন্দ্রবাজারে পাঠিয়ে দেয় অকশানের জন্য। সেখানে অকশান পক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট মালিক এবং তাঁদের লেবারদের বিরুদ্ধে।
.
এই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি বিশপ সরকার জানান, “মগরাহাট থানার নাকা চেকিংয়ের সময় খোকা ইলিশ ধরা পড়ে। একটি নির্দিষ্ট ওজনের থেকে কম ওজনের ইলিশ ধরা বেআইনি। ঘটনাটি ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টকে জানোনো হয়। এরপর তাদের উপস্থিতিতে খোকা ইলিশ ডায়মন্ড হারবার মাছের আড়তে নিয়ে আসা হয় অকশানের জন্য। সেখানে অসুবিধার সৃষ্টি করে কিছুজন।এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মগরাহাট থানাতও খোকা ইলিশ ধরার জন্য কেস শুরু হয়েছে। এবং অকশানিং প্রসেসে বাধা দেওয়ার জন্য ডায়মন্ড হারবারে এফআইআর শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে ধরনের বার্তা ছড়ানো হয়েছে সেগুলি সম্পূর্ণ ভুল।”
এই ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানিয়েছেন, “ওই ব্যক্তি ফেসবুকে নিজেই জানিয়েছেন তিনি খোকা ইলিশ নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি ফেসবুক পোস্টে দাবি করছেন যদি কোনোও বেআইনি দ্রব্য কোথাও পাওয়া যাচ্ছে তাহলে আমি কেন কিনব না। এটা কোনোও জাস্টিফিকেশন হতে পারেনা। যদি কোথাও নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায় সেটা আমি কিনেছি। এই ধরণের কথা ঘটনাটিকে জাস্টিফাই করতে পারেনা। এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।”