আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ইভটিজিং-এর কোনও ঘটনা ঘটেনি। দুটি গাড়ির রেষারেষিতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের তরফ থেকে কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।
advertisement
পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, ইভটিজিং হয়নি। দুটি গাড়ির রেষারেষি থেকেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। তবে অভিযুক্তদের গাড়ির আরোহীরা এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে। মৃতার গাড়ির ড্রাইভার ও এক সঙ্গীকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এদিন মৃতদেহ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েও ফের থানায় ফিরে আসে মৃতার পরিবার। প্রায় ঘন্টা খানেক বাদে ফের তারা হুগলির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণী একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার ছিলেন৷ রবিবার রাতে গয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গাড়িতে রওনা দেন সুতন্দ্রা সহ ওই সংস্থার আরও তিন জন কর্মী৷ অভিযোগ করা হয়েছিল, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল সুতন্দ্রাদের গাড়ি৷ সুতন্দ্রাদের গাড়ির চালকের দাবি, পানাগড়ের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে দাঁড়ায় তাঁদের গাড়ি৷ এর পরই অন্য একটি গাড়ি তাঁদের গাড়ির পিছু নেয় বলে অভিযোগ৷
অভিযোগ, সুতন্দ্রাদের গাড়ি ধাওয়া করে যে গাড়িটি, তাতে পাঁচ জন যুবক ছিলেন৷ গাড়ি থেকে সুতন্দ্রাদের গাড়ির উদ্দেশ্যে কটূক্তি করতে থাকে পাঁচ মদ্যপ যুবক৷ এমন কি, দু বার পিছন থেকে ওই গাড়িটি সুতন্দ্রাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে বলেও অভিযোগ৷ এর পরই সার্ভিস রোড ধরে গাড়ি নিয়ে দ্রুত দার্জিলিং মোড়ের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু পিছু নেওয়া গাড়িটি সুতন্দ্রাদের গাড়িটিকে ওভারটেক করে সামনে পথ আটকে দাঁড়ায়৷ তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুতন্দ্রাদের গাড়িটি উল্টে যায় বলে অভিযোগ৷ দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুচন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই তরুণী৷ চালকের পাশেই বাঁদিকের আসনে বসেছিলেন সুতন্দ্রা৷
কিন্তু পুলিশ এবার যে তথ্য ও ফুটেজ সামনে নিয়ে এল, তাতে গোটা ঘটনায় অন্য দিকে মোড় নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।