পশ্চিমবঙ্গ আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি অনীহার কারণে আলু বীজ উৎপাদনে সফল হয়নি এতো দিন। কিন্তু রাজ্য সরকার ২০১৭ সাল থেকে সেন্ট্রাল পটেটো রিসার্চ ইন্ডিয়া ও ২০২৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল পটেটো রিসার্চ সেন্টার পেরুর হাত ধরে বীজ উৎপাদন শুরু করেছে। টিস্যু কালচার ও অ্যারোপোনিক্স মাধ্যমে বীজ তৈরি করছে রাজ্যের রিসার্চ সেন্টার গুলি। মোট ১৭ টি বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত প্রজন্মের আলু বীজ উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে রাজ্যের আলু গবেষকরা।
advertisement
এই রিসার্চের একজন বিজ্ঞানী ড: হিমাদ্রিশেখর দাস বলেন পাঞ্জাবের আলু বীজ হিসাবে আমাদের রাজ্যে কোন জায়গায় বিক্রি হয় না। যতক্ষণ না কোন আলু বীজ সার্টিফিকেশনের মধ্যে দিয়ে না যায়, ততক্ষণ আমরা বীজ হিসাবে গণ্য করি না। গোটা রাজ্যে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আলু বীজের প্রয়োজন। পাঞ্জাবের সাধারণ আলুকে বীজ হিসাবে ব্যবহারের কারণে প্রচুর পরিমাণে সার ও ওষুধ দেয় কৃষকরা। তা দিয়ে অধিক ফসল ফলান চেষ্টা করেন কৃষকরা । তাতে কৃষকদের খরচও বাড়ে ।এর ফলে চাষীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন রাজ্য সরকার যদি আলু বীজ তৈরি করে তার চেয়ে সুখবর আর কিছু নেই ।আমরা চাই রাজ্য সরকারি মাধ্যমে কৃষকরা আলুবীজ সংগ্রহ করুক ।পশ্চিমবাংলায় যদি বেশি পরিমাণে আলু বীজ উৎপাদন হয় ।তাহলে পাঞ্জাবীদের যে একচ্ছত্র ব্যবসা বন্ধ হবে। মাঝে মধ্যেই চাহিদা বেশি থাকলেই পাঞ্জাবের বীজের দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।এতে পশ্চিমবঙ্গের বীজ ব্যবসায়ীরা কোন লাভ থাকে না। রাজ্য সরকারের উৎপাদিত আলু বীজের গুণগত মান এবং ফলন বেশি হয়।তাহলে পাঞ্জাবের বীজের জনপ্রিয়তা ও নির্ভরতা কমবে।তখন আমরা বাংলার বীজ বিক্রি করব কৃষকদের।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
পশ্চিমবঙ্গ সরকার বঙ্গশ্রী ব্যান্ডের মাধ্যমে চন্দ্রমুখী, জ্যোতি ,হেমালিনী, সূর্য, মোহন, নীলকন্ঠ সহ ১৭ টি প্রজাতির বীজ আলু দিচ্ছে কৃষকদের। ইতিমধ্যে সেই সমস্ত আলুর বীজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এর মধ্যে পিছিয়ে নেই হুগলিও। রাজ্যব্যাপী যে সমস্ত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র গুলি রয়েছে সেগুলিতে এখনও পর্যন্ত গবেষণা চলছে। কিছু কিছু করে আলু বীজ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে চাষ করার জন্য। এর মধ্যে দিয়ে পঞ্জাব কেন্দ্রিক যে নির্ভরতা সে নির্ভরতা কাটিয়ে স্বনির্ভর হতে পারবে বাংলার আলু চাষ।
রাহী হালদার