আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পুজোর সময়ে ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্য জুড়ে। একাধিক জেলায় বৃবৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ফলে আশঙ্কার মেঘ থাকছে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই। মহালয়ার দিন থেকেই বৃষ্টি শুরু হবার সম্ভাবনা। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুইয়া জানিয়েছেন, ‘‘ভয়াবহ চক্রান্ত করছে। জল নিয়ে খেলা করছে। ডিভিসি এর প্রধান কাজ করছে। আজকেও ডিভিসি ও গালুডি জল ছেড়েছে। এর মধ্যে তিস্তায় বিপুল পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে শুক্রবার ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে। সরকার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে কাজ করছে।‘‘
advertisement
সব জায়গায় এমারজেন্সি সেন্টার খোলা হয়েছে। জেলা ও ব্লক ভিত্তিক টিম আছে। রাত্রিবেলা সেচের আধিকারিকরা বাঁধে ঘুরছে। বিভিন্ন জায়গায় মাটির চরিত্র আলাদা হবার কারণে বাঁধ ভাঙছে। ভয়ঙ্কর ডিভিসি জল ছাড়ছে। গ্রাম, ফসল ভেসে যাচ্ছে। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকছি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বারবার অভিযোগ ডিভিসি তাদের জলাধারের পলি নিষ্কাশন করছে না। ফল জল তারা জলাধারে ধরে রাখতে পারছে না। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই তারা জল ছেড়ে দিচ্ছে।
এই অবস্থায় পুজোর মরসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেবে। মন্ত্রী মানস ভুইয়া বলেন, ‘‘কেন্দ্রকে বারবার বললেও কাকস্য পরিবেদনা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বললেও গা করছে না। ডিভিসি হল এমন এক, ওদের বলে বলেও হচ্ছে না। জানিনা কানে পাথর আছে কিনা!’’