গতকাল ঝাড়গ্রামে সেভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি, তবে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় অতি বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু জলাধারের জলস্তর বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সেচ দফতর বাধ্য হয়ে জল ছাড়ে। সমস্ত কজওয়ের উপর জল থাকায় অনেকই তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন নি। ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁকুড়ার রাইপুরে শিক্ষকতা করতে আসা শিক্ষকরাও বিপাকে পড়েন। ঘুরতে হয় বাড়তি প্রায় ৪০-৪৫ কিমি পথ। স্থানীয়রাও অনেকেই এদিন বাড়ি থেকে কাজে বেরোতে পারেন নি। স্থানীয় বাসিন্দা মাখন মুর্মু বলেন, নদী পেরিয়ে মাত্র চার পাঁচ কিমি যেতে হত, জল থাকায় এখন অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘সে’ ঢুকেছে…! মাইকে প্রচার, ভীতসন্ত্রস্ত বাসিন্দারা, দরজা বন্ধ বাড়িতে বাড়িতে, হলটা কী ঝাড়গ্রামে…
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে প্রায় ১৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ক্যানেলের মাধ্যমে জল আসে তারাফেনী ব্যারাজ ও যাঁতাডুমুর জলাধারে পাঠান হয়। তারাফেনী ব্যারাজ থেকেও তারাফেনী নদীতে জল ছাড়ার ফলে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে কজওয়েগুলির উপর মোতায়েন করা পুলিশ। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেচ দফতর সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লকের যাঁতাডুমুর জলাধারে জল বাড়তে শুরু করে। ওই জলাধারের সর্বাধিক জলধারণ ক্ষমতা ৩৮৬ ফুট। গতকাল বিকালে ওই জলাধারে জলস্তরের উচ্চতা ৩৮১ ফুট ছুঁয়ে যাওয়ায় জলাধার থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই ওই জলাধার থেকে দেড় হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করে সেচ দফতর। যাঁতাডুমুর জলাধার থেকে ছাড়া জলে এদিন সকাল থেকে ভৈরববাঁকী নদীর উপর নিশ্চিন্তপুর কজওয়ের যান চলাচল বন্ধ। সুতরাং, এখন এমন পরিস্থিতে যেমন সাধারণ মানুষেরা সমস্যায় পড়েছেন, ঠিক সেইরকমই কারও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে মাঝরাস্তায় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
তন্ময় নন্দী