উল্লেখ্য, শিশুদের চিকিৎসা করার জন্য জেলায় ১০টি করে শয্যার পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে পান্ডুয়া এবং কামারপুকুরে। এখানে চরম অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের ভর্তি করে চিকিৎসা করা হবে। তাঁদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। কামারপুকুর হাসপাতালের একটি নতুন বিল্ডিংয়ের একাংশে চালু করা হয়েছে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র। ফলে এলাকার যে শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগছে তাদেরকে দ্রুত এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আপনার গিজার ঠিকঠাক কাজ করছে? এই ৪ লক্ষণ দেখলে বুঝবেন পাল্টানোর সময় এসেছে
বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি চালু থাকলেও সঠিক মাত্রায় পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলত যথাযথ পুষ্টির ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তাই পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করে শিশুদের অপুষ্টি দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কামারপুকুর পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বীরেশ্বর বল্লভ জানান, সরকারিভাবে জেলায় দুটি কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। অধিকাংশ এখন প্রত্যন্ত গ্রামের দিকে শিশুদের মধ্যে চরম অপুষ্টিতে ভুগছে।
ফলে সঠিক পরিষেবা পাচ্ছে না ওই সমস্ত বাচ্চারা। সরকারি ভাবে চালু হলেও গ্রামের অনেক মানুষই যোগাযোগ না করার ফলে এই জায়গায় আসতে পারছে না। তাই তাদের জন্য তিনি প্রথমেই বলেন প্রত্যন্ত গ্রামের দিকে শিশুদের যে খাবার তা গুণগত কিভাবে পরিচর্যা করবে তা সঠিকভাবে খাবার খাওয়াতে পারে না। তাই তিনি প্রত্যেক শিশুর মায়ের উদ্দেশে বলেন যদি সরকারি ভাবে পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিজেরা সঠিকভাবে অপুষ্টিতে ভোগাশিশুর জন্য কী কী করণীয় তা যদি একবার দেখে নেয় তাহলে হয়তো প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুরা অপুষ্টিতে ভুগবে না।
Suvojit Ghosh