বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত এই বিষয়ে বলেন, “বিদ্যালয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং তারা কি ধরনের খাবার খাবে সেই সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মাবে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার বিদ্যালয়ের স্বার্থে আদর্শ মানুষ গড়ার স্বার্থে।” বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে এই বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণীর প্রায়তিনশ ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ, চোখ, হার্ট তথা অন্যান্য সমস্যা নিয়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যের হাল হকিকত পরীক্ষা করা হয়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
বর্ধমানের এই বিদ্যালয়ে বছরে অন্তত চার থেকে পাঁচটি বিনামূল্য স্বাস্থ্যশিবির হয়ে থাকে, যা এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের দারিদ্রসীমার আশেপাশে থাকা ছাত্রছাত্রীদের অনেকটাই উপকারে লাগে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপ্ত সুন্দর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,”আমাদের বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের সমস্যা হলে আমরা সেটা সমাধান করারও চেষ্টা করি।”
আরও পড়ুন : ইটভাটায় শিক্ষার আলো, বর্ধমানের এই শিক্ষকের অবদান অবাক করা
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের সঙ্গে বিশেষ ভাবে আলোচনাও করা হয়। এছাড়া আসন্ন এই গরম এবং দাবদাহের সময় কীভাবে থাকতে হবে , কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে সেই বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। সব মিলিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে নেওয়া এহেন উদ্যোগ সত্যিই বেশ প্রশংসনীয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী