TRENDING:

Bengali News: "আমায় বাঁচান...", হেড স্যারের কাছে ফোন করে কান্না ছাত্রীর, তারপরই...

Last Updated:

গুণে লক্ষ্মী হলেও পড়াশোনা করতে চাওয়া সরস্বতীর বরকন্যা এই মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল বাবা-মা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: সন্ধেয় ছিল বিয়ের আসর। কষ্ট করে বিয়ের আয়োজন করেছিল পরিবার। তবে যার বিয়ে সমস্তটাই হচ্ছিল তার মতের বিপক্ষে গিয়ে। পড়াশোনা ফেলে এখন বিয়ে করতে চায়নি নাবালিকা এই পাত্রী। বাড়িতে অনুনয়-বিনয় করলেও কথা শোনেনি বাবা-মা। দিন আনি দিন খাওয়া পরিবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরই মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিল বাবা-মা। যদিও শেষ পর্যন্ত নাবালিকা বিবাহ হয়নি। আর কী করে সেই বিয়ে আটকে গেল সেটা জানলে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে।
প্রতিকী ছবি
প্রতিকী ছবি
advertisement

আরও পড়ুন: চিংড়ি খালি ফোর্ট কোথায় আছে জানেন? এই ইতিহাস কি সত্যি হারিয়ে যাবে

গুণে লক্ষ্মী হলেও পড়াশোনা করতে চাওয়া সরস্বতীর বরকন্যা এই মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত করেছিল বাবা-মা। সেই মত আয়োজনও সারা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে হঠাৎই একটি ফোন আসে। কাঁদতে কাঁদতে একটি মেয়ে তাঁকে কে বলে, সে পড়তে চায়। কিন্তু বাড়িতে বিয়ের ব্যবস্থা করেছে। এরপরই ওই নাবালিকার বিয়ে ঠেকাতে উদ্যোগী হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর প্রচেষ্টায় স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সহযোগিতায় নাবালিকার বিয়ের রুখতে সচেষ্ট হয় প্রশাসন। নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা ও পুলিশ।

advertisement

এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের একটি গ্রামের। জানা গিয়েছে, চলতি বছরই শালবনি ব্লকের নান্দাড়িয়া শাস্ত্রী স্মৃতি বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক দিয়েছিল ওই নাবালিকা। বাবা-মা’কে সে জানিয়েছিল আরও পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শেষপর্যন্ত নিজের বিয়ে নিজে আটকে দিয়ে আজ সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত গড়ল কিশোরী।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

advertisement

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পুলিশ কর্তারা ওই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে ১৮ বছর হওয়ার আগেই মেয়ের বিয়ে দেওয়ার বিপদ সম্পর্কে পরিবারকে সচেতন করেন। পাশাপাশি তাঁরা কথা বলেন পাত্রের সঙ্গেও। এছাড়াও রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয় তাঁদের কাছে। বাবা-মায়ের থেকে মুচলেকাও লিখিয়ে নেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় এবং নিজের একান্ত প্রচেষ্টায় নিজের বিয়ের রুখতে সচেষ্ট হয় এই কন্যাশ্রী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুদ্ধদেব চ্যাটার্জী বলেন, সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত ওই ছাত্রী। একে দেখে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার অভিভাবকেরা শিক্ষা নিক।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bengali News: "আমায় বাঁচান...", হেড স্যারের কাছে ফোন করে কান্না ছাত্রীর, তারপরই...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল