তমলুক পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ওই হাইস্কুলটি। সেখানকার অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বেছে বেছে ছাত্রীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করে চলেছেন। বিশেষ করে উঁচু ক্লাসের ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করা, তাদের শরীরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্পর্শ করার মতো ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়ে খোদ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আগে একাধিকবার সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও পরিস্থিতি এতটুকু বদলায়নি। তিনি যথারীতি একই কাজ করে চলেছেন। এই অবস্থায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি জানিয়ে এদিন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান।
advertisement
আরও পড়ুন: কচুরিপানার সেতু! ইছামতি নদী পারাপারের এই পথ দেখলে ভিড়মি খাবেন
বর্তমান সময়ে যখন সরকারি থেকে বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ব্যাড টাচ ও গুড টাচের পাঠ দেওয়া শুরু হয়েছে, ঠিক তখন একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও এদিনের বিক্ষোভ এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক দেবদুলাল দাস কোনরকম মন্তব্য করতে চাননি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিন স্কুল শুরু হওয়ার পর থেকেই গেটে জরো হয়ে বিক্ষোভে শামিল হন ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষককে তাঁর রুমে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক তখন স্কুলের মাঠেই বসে পড়েন। স্কুলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্কুল ছাত্রছাত্রীরা শ্রীরামপুর-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ছুটে আসে তমলুক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে ষপ্রধান শিক্ষক দেবদুলাল দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তারপর অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা।