মাদ্রাসা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার দু'জন ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে ঢোকায় সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। এরপর তাঁরা স্কুলের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। দেখা যায়, গাড়িতে বস্তা বস্তা নতুন বই, খাতা তোলা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উপরে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। একজন পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেও অপরজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে স্থানীয়েরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় 'একলা চলো' নীতি তৃণমূলের, ভোটের আগে প্রচারে মমতা-অভিষেক
আর তারপরেই মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষক মনসুর আলি ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের মদতেই চুরি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে মনসুরকেই ধরে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন কয়েকজন। স্থানীয় কয়েকজন প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ এর আগেও এই স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। দরকারি কিছু নথিপত্র ও কম্পিউটার চুরি হয়েছিল। তখন যারা জড়িত ছিল তারাই আবার চুরি করাচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলি বলেন, "পনেরো দিন আগে রাতের বেলায় মাদ্রাসায় চুরি হয়েছিল। এবার দিনেদুপুরে চুরি হচ্ছে। তখন যারা চুরির ঘটনায় যুক্ত ছিল তারাই এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুক।"
স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল হকের বক্তব্য, "স্কুল ছুটি থাকা সত্ত্বেও স্কুলের ভিতর গাড়ি ঢোকায় আমাদের সন্দেহ হয়। স্কুলের গেট ভিতর থেকে খুলতে বললেও কেউ না খোলায় আমরা তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকি। একজন পালিয়ে যায়। কিন্তু অপরজনকে হাতনাতে ধরে ফেলি। আমাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের মদতেই এই চুরির ঘটনা ঘটছে।" তবে, এদিনের ঘটনা নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মনসুর আলিকে বার বার ফোন করা হলেও, তিনি কোনও উত্তর দেননি।