TRENDING:

বেঁচে আছেন, কিন্তু সরকারি কাগজে নেই তাঁর অস্তিত্ব! চাঞ্চল্য পূর্বস্থলীতে, নজিরবিহীন ঘটনা 

Last Updated:

সুধীরবাবুর কথায়, "লকডাউনের পর থেকে ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পঞ্চায়েত গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বিডিও অফিসে এলে জানতে পারি যে দেখাচ্ছে আমি মৃত।"

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্বস্থলী: সরকারি নথি বলছে তিনি মারা গেছেন! অথচ বাস্তবে তিনি দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছেন। এমনই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের পলাশবেরিয়া গ্রামের প্রায় ৮০ বছর বয়সি সুধীর বিশ্বাস। বছর কয়েক আগে পর্যন্ত প্রতি মাসেই ৪০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা পেতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে সেই ভাতা একেবারে বন্ধ। প্রথমদিকে তিনি ভেবেছিলেন, হয়ত কোনও কারণে দেরি হচ্ছে। তবে এরপর ধৈর্য হারিয়ে একের পর এক দরজায় কড়া নাড়া শুরু করেন তিনি। কখনও পঞ্চায়েত অফিস, কখনও বিডিও অফিস বিভিন্ন জায়গায় যান তিনি । অবশেষে, একদিন চমকে ওঠেন সুধীরবাবু। কারণ তিনি জানতে পারেন, সরকারি নথিতে তাঁকে নাকি মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে! আর তার জেরেই নাকি বন্ধ হয়েছে তাঁর বৃদ্ধ ভাতা।
advertisement

সুধীরবাবুর কথায়, “লকডাউনের পর থেকে ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পঞ্চায়েত গিয়েছিলাম, সেখান থেকে বিডিও অফিসে এলে জানতে পারি যে দেখাচ্ছে আমি মৃত।”

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

নিমদহ পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা মণ্ডলের বক্তব্য, ছয় মাস পরপর লাইভ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। সেটা না দেওয়ার কারণেই হয়তো ভাতা বন্ধ হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন বলছেন, এটা একটা বড় গাফিলতি। আগামীদিনে সুধীরবাবুর মতো আরও অনেকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। তাই এ নিয়ে দ্রুত তদন্ত হওয়া উচিত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই গোটা পলাশবেরিয়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সুধীরবাবুর ছেলে সুভাষ বিশ্বাস বলেন, “ব্লকে আমার বাবাকে বলেছে যে আপনাকে মৃত বলে ঘোষণা করা আছে তাই আপনার ভাতা কেটে দেওয়া হয়েছে। চাইছি যেন বাবার ভাতা চালু হয়ে যায়।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বেঁচে আছেন, কিন্তু সরকারি কাগজে নেই তাঁর অস্তিত্ব! চাঞ্চল্য পূর্বস্থলীতে, নজিরবিহীন ঘটনা 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল