বর্ধমান রেল স্টেশন ও স্টেশন চত্বরে বহু বাসিন্দার রুটিরুজির সংস্থান হয়। ট্রেন চলাচল শুরু হলে উপার্জন হবে এই আশায় দিন গুণ ছিলেন তারা। কিন্তু বুধবার থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হলে সেদিন থেকে রেলের জায়গায় অস্থায়ী দোকান মালিকদের বসতে দেওয়া হয়নি। চা থেকে শুরু করে চপ মুড়ি পাউরুটি ডিম কেক বিস্কুটের পসরা সাজিয়ে উপার্জন করেন তারা।
advertisement
একইভাবে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম বা ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না হকারদের। ফলে কয়েকশো হকার কাজ করার সুযোগ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। একইভাবে বর্ধমান স্টেশনের ওপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার টোটো চালক। বর্ধমান স্টেশনে নামা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়ে রোজগার করে তারা।সেই টোটো এবং রিকশ চালকদের এদিন স্টেশন চত্বরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
রেলের অনড় মনোভাব দেখ একজোট হচ্ছেন হকার, ব্যবসায়ী ও টোটো চালকরা। আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। বুধবারই স্টেশনে ঢোকার মুখে বিক্ষোভ সভা করে তারা। বেচাকেনা শুরু করতে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব হকার টোটো চালক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তাদের বক্তব্য,টোটো ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যবসায়ী বা হকারদের তাড়া করছে আর পি এফ। এই অবস্থা চলতে থাকলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। হকারদের কাজ করতে না দেওয়া হলে স্টেশন চত্বরে অচল করে আন্দোলন হবে।
আইএনটিটিইউসি নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, স্টেশন চত্বরে বহু বছর ধরে বহু মানুষ রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে আসছেন।লকডাউনের জন্য কাজ হারিয়েছেন হকাররা। তারা ট্রেন চলাচলের উপর নির্ভরশীল। তাই হকারদের স্টেশনের প্লাটফর্মের বা ট্রেনে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।দাবি না মানা হলে খুব তাড়াতাড়ি বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হবে।