বাঁকুড়ার মাচান তলায় পথচারীরা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হন। আর ফুটপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসায়ীদের বেআইনিভাবে জবরদখল করে গড়ে তোলা দোকান ঘর! এর ফলে শহরে বাড়ছে যানজট, অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঠিক সময়ে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছতে পারছে না। আর তাই বাঁকুড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মাচানতলাকে হকার মুক্ত করে ফুটপাত পথ পথচারীদের ফিরিয়ে দেওয়ার। যদিও তা গায়ের জোরে নয়, বরং বুঝিয়ে শুনিয়ে কার্যোদ্ধারের চেষ্টা করছেন পুরোকর্তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: দীর্ঘস্থায়ী বর্ষার আশঙ্কায় আগাম প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সুন্দরবনের শিল্পীরা
অভিযানে বেরিয়ে খুব স্পষ্ট করেই বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, উচ্ছেদ নয়। হকারদের স্থানান্তর করা হবে। যেখানে হকাররা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। এদিকে শহরের সাইকেল স্ট্যান্ড হকারদের জবরদখলে চলে যাওয়া নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শহরের সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেছেন, সাইকেল স্ট্যান্ডে যে ব্যবসায়ীরা স্টল দিয়েছেন তাঁদেরকে মিটিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের কিশান মান্ডিতে গিয়ে বসার জন্য। আমরা হকারদের কথা চিন্তা করেই কাজ করার চেষ্টা করছি, যাতে তাঁরাও ব্যাবসা করে সংসার চালাতে পারেন।
তবে এই প্রক্রিয়া আদৌ কার্যকরী হবে কিনা সেই নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। আদৌ হকাররা পুরসভার এই উদ্যোগে সম্মত হবেন কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী