স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই এলাকায় প্রায় বেশ কিছু বছর আগে একটি মন্দির থাকলেও, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পুজো। আর তাই নিজের পুজো পেতে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এলেন মহাদেব স্বয়ং। শিবলিঙ্গের সামনেই গ্রামের স্থানীয় এক মহিলা ভরে পড়েন। আর সেই মহিলার মধ্যে দিয়েই ভোলেনাথ গ্রামবাসীদের আবারও পুজো শুরু করার নির্দেশ দেন। এমনই অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ঠাকুরনগরের কারোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীতে কোন সবজি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়? হলফ করে বলা যায়, বিশ্বাসই হবে না শুনে
আর এই ঘটনার পর থেকেই গ্রামের মহিলারা জানান, তারা বাবাকে গ্রামেই রেখে দিতে চান। এদিনের ঘটনা সূত্রে জানা যায়, স্বর্গীয় রাম মিত্র বাবুর জমিতে গাছ লাগানোর জন্য মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। সে সময় হঠাৎই বেরিয়ে আসে ওই শিবলিঙ্গ। এই খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে দূর-দূরান্তে। যা দেখতে ভিড় জমান বহু মানুষ। সেই সময় ওই গ্রামেরই এক মহিলা বিউটি বিশ্বাসের শরীরে ভর করেন দেবাদিদেব মহাদেব এমনটাই দাবি করছেন গ্রামের মানুষজন।
আরও পড়ুন: প্রার্থী করেনি বিজেপি, তারপরই কোথায় গেলেন জন বার্লা! শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন
এরপর, তারই মাধ্যমে ভোলেবাবা জানান, তিনি অনেক ক্ষুধার্ত, তাকে খেতে দেওয়া হোক। দশ বছর আগে যে পুজো বন্ধ হয়ে গিয়েছে তা আবারও পুনরায় চালু করুক গ্রামের মানুষেরা। সেই সময়ের ভিডিও-ও ক্যামেরা বন্দি করে রাখেন গ্রামের কয়েকজন। আর তারপর থেকেই রাতারাতি টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মন্দির। স্থানীয়দের উদ্যোগেই শুরু হয়েছে পুজোপাঠ। এখন দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন বাবার কাছে পুজো দিতে। গ্রামবাসীরা এখন স্থায়ী শিব মন্দির গড়ে বাবাকে পুজো দেওয়ার তোড়জোর শুরু করেছেন।
——- Rudra Narayan Roy