বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে মানুষ আসেন এই হাঁসুলী বাঁক পরিদর্শন করতে। অন্যদিকে সম্প্রতি বাঙালির ভালবাসাকে কাজে লাগিয়ে হাঁসুলী বাঁক-কে পর্যটন মানচিত্রে আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এখানে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায় এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ইতিহাসে ডুব দিতে পুজোয় ছোট্ট ছুটিতে আসুন বল্লাল সেনের সাম্রাজ্যের ভগ্নাবশেষে
advertisement
লাভপুর (Labhpur) থেকে কোপাই নদীর (Kopai River) হাঁসুলী বাঁক পর্যন্ত ইতিমধ্যেই একটি পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাঁসুলী বাঁকের পাশে তৈরি করা হয়েছে পিকনিক স্পট এবং ফুলের বাগান। নদী সংলগ্ন একটি পুকুরে পর্যটকদের জন্য বোটিং-এর ব্যবস্থা। পর্যটকরা যাতে হাঁসুলী বাঁক দেখতে এসে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে পারেন তার জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।
আরও পড়ুন : প্রকৃতির সঙ্গে নির্জনতা যাপন চাইলে পুজোয় আসুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মংপুতে
কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় তার লেখনীতে এই নদীর বাঁককে মেয়েদের কণ্ঠের অলঙ্কারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কোপাই নদীর প্রায় মাঝামাঝি জায়গায় এই বিখ্যাত বাঁকটি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এই হাসুলীবাঁকের রং বদল হয়ে থাকে।
হাঁসুলী বাঁক ঘুরতে আসার জন্য বোলপুর থেকে পর্যটকদের আসতে হবে লাভপুর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে সামান্য কিছুটা দূরেই এই হাঁসুলী বাঁক। এর পাশাপাশি তারাশঙ্করপ্রেমীরা যারা এই হাঁসুলী বাঁক দেখতে আসছেন বা আসবেন, তাঁরা ঘুরে দেখতে পারেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভিটে এবং ধাত্রীদেবতা প্রদর্শশালা।
(প্রতিবেদন- মাধব দাস)