ভালো চাহিদা ছিল এখানকার শাড়ির। বছরের পর বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এখানকার শিল্পীরা। তবে এই বছর পুজোতে নেই ব্যাস্ততার সেই চেনা ছবিটা। করোনার সময় থেকে পড়তে শুরু করেছে তাঁতের শাড়ির চাহিদা। এই বছর আর একেবারেই চাহিদা নেই বলেই জানাচ্ছেন উক্ত এলাকার তাঁতিরা। এই প্রসঙ্গে তাঁত শিল্পী তপন বসাক জানিয়েছেন, “পুজোর আগে চরম ব্যস্ততা থাকত। কিন্তু এখন আর একেবারে চাহিদা নেই। কোনও রকমে দিন চলে। আগে আমার অনেক তাঁতযন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন মাত্র কয়েকটা পড়ে রয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন : অ্যাপের মাধ্যমে করতে পারবেন যেকোনও অভিযোগ, নয়া উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান পুলিশের
এই প্রসঙ্গে জেলার এক মহিলা তাঁত শিল্পী বন্দনা হালদার জানিয়েছেন, “একসময় আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে জোর কদমে তাঁতের কাজ করতাম।কিন্তু আজ তাঁতের কাজ করে আর সংসার চালানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই আমার স্বামী কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছে অন্যত্র। সেখানেও সেভাবে কাজ হয় না কোনও রকমে কষ্টের মধ্য দিয়ে আমাদের দিন চালাতে হয়। কয়েক বছর আগে দুর্গা পুজোতে আমাদের চরম ব্যস্ততা থাকত। আমরা রাত দিন জেগে কাজ করতাম। কিন্তু সে সব এখন অতীত।”
আরও পড়ুন : এবার পুজোর বিশেষ আকর্ষণ! এমন অভিনব দুর্গা প্রতিমা আগে দেখেননি
হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন পরেই ঢাকে পড়বে কাঠি। শারদ উৎসবে সামিল হবে হয়ত অনেকেই। কিন্তু, সেই অর্থে হয়ত উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে পারবে না এই সকল এলাকার তাঁতশিল্পীরা। কারণ, সুরাট এবং অন্যান্য জায়গার পাওয়ার লুম ফিকে করে দিয়েছে তাদের শিল্পের জৌলুস।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবুও, নামমাত্র কয়েকটি তাঁত যন্ত্র আগলে এখন অর্ডারের প্রত্যাশায় দিন গুনছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর তাঁত শিল্পীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী