বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের কৈলাসতলার বাসিন্দা ৪২ বছরের প্রশান্ত লোহার নিজের বাড়িতে বসে ফেলে দেওয়া নারিকেলের খোলা, গাছের ডালপালা, বাঁশ, বাদামের খোসা দিয়ে বানাচ্ছেন বিভিন্ন রকমের মূর্তি, পুতুল, শোপিস, ফুলদানি-সহ ঘর সাজানোর হরেক জিনিস। এসব দেখলে আপনিও অবাক হবেন! সকাল সন্ধ্যা এই কাজ নিয়েই ব্যস্ত তিনি। সংগ্রহ করে আনা নারকেলের খোলা নিয়ে প্রশান্ত বাবুর সারাদিনের ভাবনা চিন্তায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের কারুকার্য!
advertisement
জানলে আশ্চর্য হবেন, প্রশান্তবাবু এই কাজের জন্য কোনও মেশিন ব্যবহার করেন না। ছোট ছোট দুই থেকে তিনটি যন্ত্রপাতি দিয়েই তিনি এই কাজ করেন। গাছ থেকে পড়া শুকনো নারকেল সংগ্রহ করেন, এছাড়াও পৌষ সংক্রান্তির সময় নারকেল খোলা সংগ্রহ করে চালান শিল্প কর্ম। মূলত পৌষ সংক্রান্তির অপেক্ষা করেন সারা বছর। কারণ তখনই সবার বাড়িতে নারকেলের ব্যবহার হয় পিঠে বানানোর জন্য। সেই নারকেল খোলা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি থেকে তিনি সংগ্রহ করেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পী প্রশান্ত লোহার বিগত ছয় বছর ধরে নারকেল খোলা দিয়ে বিভিন্ন রকমের পুতুল, ফুলদানি-সহ বিভিন্ন রকমের জিনিস বানাচ্ছেন। এক সময় মাটির পুতুল গড়তে গড়তে হঠাৎ তাঁর মাথায় চিন্তা আছে, যদি ফেলে দেওয়া নারকেলের খোলা দিয়ে কিছু বানানো যায় তাহলে বিষয়টা কেমন হয়! সেই থেকে তিনি এই কাজ করে আসছেন। এই কাজের চাহিদা থাকলেও একার পক্ষে এত জিনিস বানানো সম্ভব হচ্ছে না এখন। তার থেকেও বড় কথা, তিনি কোন মেশিন ব্যবহার করেন না।
নারকেলের তৈরি ইঁন্দুর, বানর, হাতি, ফুলদানি এই সমস্ত জিনিস নিতে হলে আপনাকে যেতে হবে বেলিয়াতোড়। প্রশান্তবাবু জেলার বিভিন্ন মেলাতে গিয়েও নারকেলের খোলার তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করেন।