কচুরিপানা বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজের উপযুক্ত করে সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। যেমন বিভিন্ন ডিজাইনের মহিলাদের ব্যাগ, ডায়েরি, ফাইল, গয়না বক্স, পেনদানি অফিসের প্রয়োজনীয় জিনিস সহ ঘর সাজানো ও ব্যবহারের নানা জিনিস। কচুরিপানার তৈরি এই সমস্ত জিনিস সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। ফলে বর্তমান সময়ে এর চাহিদা দারুণ। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে কচুরিপানা সামগ্রী হাজার হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশে-বিদেশে এই জিনিসের ভাল চাহিদা।
advertisement
আরও পড়ুন: ২০ হাজার টোটোর ‘ব্যবস্থা’ হয়ে গেল, টোটোচালকদের জন্য বিরাট সিদ্ধান্ত প্রশাসনের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জলাশয় থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে গোড়া এবং পাতা বাদ দিয়ে লম্বা সরু কাণ্ড বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুকনো করে কাজের উপযুক্ত করা হয়। এরপর নানাভাবে বিনুনি করে জিনিস তৈরি হচ্ছে মহিলাদের হাতে। সৌখিন দৃষ্টিনন্দন এই সমস্ত কচুরিপানার তৈরি জিনিস বছরের পর বছর ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমান সময়ে প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ রকমের জিনিস তৈরি হচ্ছে। এমনকি প্রয়োজন মত কোন জিনিস অর্ডার করলে সেগুলো বানিয়ে দিচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। ফলে কচুরিপানার তৈরি জিনিসের চাহিদা বাড়ছে।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কথায় জানা যায়, গ্রামবাংলায় অবহেলিত কচুরিপানা আশার আলো দেখাচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেশ কিছু হাতের কাজ শেখা। এরপর আরও আগ্রহ বাড়ে, ইতিমধ্যেই সাঁকরাইল ডোমজুড় ও জগৎবল্লভপুর ব্লকের বেশ কিছু মহিলা দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও নানা জিনিস তৈরি করছে কচুরিপানার সাহায্যে। আগামী দিনে আরও বেশি শেখার আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষক বিধান দেবনাথ জানান, “আগামী দিনে কচুরিপানার সামগ্রীর ভাল বাজার রয়েছে। ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। হাওড়া জেলায় অনুষ্ঠিত শিল্পশ্রী মেলায় এই কচুরিপানার তৈরি সামগ্রীকে জনসমক্ষে তুলে ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কচুরিপানার তৈরির সামগ্রী মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিসের মধ্যে ‘পাইলট প্রজেক্ট ‘ হিসাবে রাখা হয়েছে মেলায়।”
এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক ডঃ পি দিপাপ প্রিয়া জানান, “হাওড়া জেলার পুকুর জলাশয় ও নয়নজুলিতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা জন্মায়। বিশেষ করে জল জমা এলাকায় কচুরিপানার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সাধারণ জিনিস থেকেও যে ভাল আয় হতে পারে। কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই চেষ্টা দীর্ঘদিনের। বর্তমানে মহিলাদের হাতে কচুরিপানা দিয়ে নানা সামগ্রী তৈরি হচ্ছে এর মাধ্যমে আরও বেশি স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ মহিলাদের।”
রাকেশ মাইতি





