শুক্রবার বিকেল ৩টেয় ছিল অনাস্থা বৈঠক। তার আগেই অনাস্থা বৈঠকের পর স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। আইনের তোয়াক্কা না করে বৈঠকের নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ হালিশহর পুরসভার এক কাউন্সিলর। ওই কাউন্সিলরের অভিযোগ, পুর আইনে নোটিস দেওয়ার অন্তত ৭দিন পরে অনাস্থা বৈঠক হতে পারে। ১৬ জুলাই যে নোটিস পাঠানো হয়,তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ১৭ জুলাই হাতে আসে। তার একদিন পরেই কীভাবে অনাস্থা বৈঠক হতে পারে? আদালত এভাবে হস্তক্ষেপ করুক।
advertisement
অভিযোগ শুনে নোটিস পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়৷ দ্বিতীয়ার্ধে এই আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শুরু হয়। হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো অনাস্থা নোটিশ আদালতে পেশ করেন অভিযোগকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়ালে অভিযোগ করা হয়, অনাস্থা বৈঠক আসলে আস্থাভোটের ছায়া মাত্র। এইভাবে আগামী ৬ মাসের জন্য চেয়ারম্যান নিজের পদ সুরক্ষিত রাখতে চাইছেন। কারণ একবার বৈঠক হলে আগামী ৬ মাস আর অনাস্থা আনা যায় না শুনানির মধ্যে আবারও ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। এসব হচ্চেটা কী? এতো আরও বড় জালিয়াতি। আদালতের নির্দেশ অনেকক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। এই সময়ই সওয়াল শুরু করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,রাজ্যের বক্তব্য না শুনে নির্দেশ দিতে পারে না আদালত।
বিচারপতি পালটা বলেন, এভাবে আদালতকে নির্দেশ দিতে পারেন না অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিভিন্ন পুরসভায় রাজ্য সরকারের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিচারপতি৷ বনগাঁ পুরসভায় রাজ্যের ভূমিকা অনাস্থা ভোটের বিরুদ্ধে। আবার হালিশহরে সেটা পালটে গেল। এত তাড়াহুড়ো কীসের? এই সওয়াল জবাবের পরই ২৩ জুলাই পর্যন্ত হালিশহরে আস্থাভোট ২৩ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। আইনি টানাপোড়েনের মধ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের দাবি,হালিশহর পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাদের হাতেই।
