এখানে যুবসমাজ বিভিন্ন রকম হেয়ার স্টাইল ও চুলে রকমারির রং করে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে বের হয়। সিউড়ির আরটি মোড়, মসজিদ মোড়, প্রশাসন ভবন মোড়ে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন প্রতিমা নিরঞ্জন দেখার জন্য। ক্লাবের সদস্যদের দাবি, বিসর্জনের দু’দিন আগে থেকেই বিভিন্ন সেলুনে লাইন দিয়ে চুলে রং করান কিশোর-যুবকরা। কেউ চুলে লাল রং করেন, কেউ নীল, আবার কেউবা সবুজ রঙে রাঙিয়ে তোলেন নিজেদের চুল।
advertisement
আরও পড়ুন: ঐতিহ্যের রাসমেলা শুরুর অপেক্ষায় গোটা কোচবিহার
ক্লাবের সদস্যরা জানান, প্রধানত পাড়ার ১০ থেকে ২৫ বছর বয়সের যুবকেরা লাল, নীল কিংবা সবুজ রং করা চুল নিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সামিল হয়। তবে তার মেয়াদ থাকে মাত্র একদিন। বিসর্জনের পরের দিনই আবার সবাই পুনরায় আগের মতই লাইন দিয়ে চুলে কালো রং করে ফেলেন। যেহেতু এভাবেই প্রতিমা নিরঞ্জন হচ্ছে এর জন্য বাড়ির সদস্যরাও কোনওরকম বাধা দেন না। এটা এই এলাকার ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্লাবের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুজোর বাজেটের প্রায় অর্ধেক টাকা বরাদ্দ থাকে শুধুমাত্র বিসর্জনের জন্য। ক্লাবের এক সদস্য বলেন, মাত্র একদিনের জন্য ক্লাবের কিশোর-যুবকেরা অনেক টাকা খরচা করেন চুল রং করাতে।
সৌভিক রায়