কথায় আছে কেশ নারীর বেশ। তবে আধুনিক যুগে অনেকেই ছোট চুলে আগ্রহী হলেও, চুল হারানোর যন্ত্রণা বোঝেন ক্যান্সার আক্রান্তরা। তাই এখন চুলদানের মত মানবিক উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে সমাজ। চুল হারানোর কষ্ট একটু যাতে লাঘব হয়, তাই মহিলারা নিজেদের চুল দিয়ে মানবিকতার নজির গড়ছেন। চুল দান করলে, সেটি ক্যান্সার বা অ্যালোপেসিয়ার মত অসুস্থতার কারণে চুল হারানa ব্যক্তিদের জন্য একটি উচ্চমানের পরচুলা বা কৃত্রিম চুল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : সতীপীঠ ক্ষীরগ্রামে দুর্গাপুজো হয় ধুমধাম করে, তবু নেই একটিও মৃন্ময়ী প্রতিমা! আসল রহস্য জানলে চমকে যাবেন
যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সাহায্য করে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতরে চুল দানের কর্মসূচিটি নেওয়া হয়। এদিনের এই চুলদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়াড়ের মাত্র আট বছরের শিশুকন্যা সীমন্তী নন্দীগ্রামী এবং পুরুলিয়ার বেলা মাহাতো। বেলা মাহাতো নিজে একজন স্বাস্থ্য কর্মী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অ্যালোপেসিয়া বা অন্য কারণে যারা চুল হারিয়েছেন, তাদের জন্য কৃত্রিম পরচুল একটি বড় মানসিক সাহস এনে দেয়। যোগায়। চুল দানের ক্ষেত্রেই সাধারণত ১২ ইঞ্চি বা তার বেশি লম্বা চুল দানের জন্য গ্রহণযোগ্য। ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতরে প্রায়ই এমন চুল দান করেন মহিরারা। সবমিলিয়ে এই প্রয়াসে অংশ নিতে পেরেও খুশি মহিলারা। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, এগিয়ে এসেছে এক শিশুকন্যাও।