ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়ার আগে পর্যন্ত নিয়মিত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন। পাশাপাশি নিয়মিত তিনি নার্সিংহোমেও গিয়েছেন। দুবেলা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাই তাঁর সংস্পর্শে আর কারা কারা এসেছেন তা খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। বর্ধমানের ডাক্তার পাড়া হিসেবে পরিচিত খোসবাগানের এই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই তাঁর চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি একটি নার্সিংহোমে বেশ কয়েকজন রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। তাই চিন্তিত সেইসব প্রসূতি, আসন্নপ্রসবা ও তাঁদের আত্মীয় পরিজনরা।
advertisement
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের এক রোগীর করোনা ধরা পড়ায় ওই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি নিয়ন্ত্রিত করার হয়েছে। ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক নার্সদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে রোগী এলে সেখানে তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। এদিকে বর্ধমান মেডিকেলের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেখানেও রোগী ভর্তি করতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে হাসপাতালগুলি এখন করোনা আবহে উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।