সম্পূর্ণভাবে আবর্জনা মুক্ত করা হবে এই জায়গা। আর নতুনভাবে যে আবর্জনা জমা হবে সেগুলোকেও পৃথকীকরণ করা হবে। আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদেরও চরম সমস্যা হয়। এছাড়াও আবর্জনা নদীতে পড়লেও দূষণ ঘটে। তাই সবরকম চিন্তাভাবনা করে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুসকরা পুরসভা।ইতিমধ্যেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের চারপাশ জুড়ে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে গুসকরা পুরসভার এসএই সপ্তম কুমার মাঝি জানান, ওইখানে যে ময়লাগুলো রয়েছে সেইগুলোকে পৃথকীকরণ করা হবে। পৃথকীকরণ করে ওই জায়গা সম্পূর্ণভাবে আবর্জনা মুক্ত করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে যাতে আগের মত নতুন করে আবর্জনা না জমে তার জন্য ওখানে কিছু মেশিন বসানো হবে। তবে মেশিন বসার আগে সম্পূর্ণ জায়গার পরিকাঠামো উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে সেই কাজই করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় জোর
এই প্রজেক্ট সফল হলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন পরিবেশকে সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত রাখা যাবে। এছাড়াও এই জায়গায় বর্তমানে বেশ কিছু বাসিন্দা রয়েছেন, আবর্জনা জমে থাকার কারণে তাদেরও সমস্যা হয়। এই প্রজেক্ট সফল হলে তাঁরাও দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। নদীর জলও আর দূষিত হবে না।
এছাড়াও আবর্জনা থেকে যে গুড আর্থ পাওয়া যাবে, সেখান থেকে সার তৈরি করে অল্প দামে বাজারজাত করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য পরিকাঠামো উন্নতিকরণের কাজ চলছে বর্তমানে। পরিকাঠামো উন্নত হলে এই কাজে খরচ হতে পারে প্রায় ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী