ফের শিরোনামে বিধায়ক জাকির হোসেন। মুর্শিদাবাদের সুতিতে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও কারখানায় জিএসটি আধিকারিকদের হানা দেয়। বিড়ি কারখানা ও বিধায়কের বাড়ি ও অফিসে এদিন সন্ধে থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছেন সেন্ট্রাল জিএসটির আধিকারিকরা। বাইরে মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদের সুতির ঔরঙ্গাবাদে অবস্থিত জাকির হোসেনের একাধিক ফ্যাক্টরি রয়েছে। এই সমস্ত ফ্যাক্টরিতে জিএসটির কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। জাকির হোসেনের যেমন বিড়ি ফ্যাক্টরি রয়েছে ঠিক তেমনই একাধিক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। মুর্শিদাবাদ জেলার বড় শিল্পপতি হিসেবেই পরিচিত তিনি।
advertisement
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরদারিতে জিএসটি অফিসাররা অভিযান চালান এবং মধ্য রাত পর্যন্ত পর্যন্ত অভিযান চলেছে বলে সূত্রের খবর। টানা আট ঘণ্টা জাকিরের বাড়িতেই অভিযান চলে। মধ্য রাতে বেড়িয়ে যান আধিকারিকরা। ফ্যাক্টরি একাধিক কাগজপত্র যেমন খতিয়ে দেখা হয়েছে জিএসটি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে আধিকারিকরা। এর আগে ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের ঔরঙ্গাবাদের বাড়ি ও কারখানায় আয়কর দফতর অভিযান চালায়। এবার জিএসটি অভিযান চলা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশাল উত্তেজনা।
যদিও অভিযান শেষে বিধায়ক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, আইন মেনেই ব্যবসা করি, ৩০ হাজার মানুষের রুটি রুজির ব্যাপার। এভাবে হানা দিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না করে নোটিশ দিয়ে ডাকলে ভাল হয়। শ্রমিক দিয়ে আমাদের কাজ। বছরে দুই তিনবার হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাধিক শ্রমিক। আধিকারিকদের অনুরোধ সঠিক রিপোর্ট যেন পেশ করা হয়।
কৌশিক অধিকারী