আরও পড়ুন: বাড়িতে ঘুমোচ্ছে ছেলে, প্রাতঃভ্রমণে এসে পুকুরেই সব শেষ মহিলার
সোনি নেটওয়ার্কে অনুষ্ঠিত ‘এন্টারটেনমেন্ট কে লিয়ে কুচ ভি করোগে’ প্রতিযোগিতায় মুর্শিদাবাদের এই রায়বেঁশে শিল্পীরা জয়ী হয়েছেন। অবশ্য বাংলার এই পুরনো লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁরা ভিন জেলা, এমনকি ভিন রাজ্যে এর আগেও নিজেদের শিল্প প্রদর্শন করেছেন।
advertisement
রায়বেঁশে-তে মূলত ব্যালেন্স হল সব থেকে বড় বিষয়। পাশাপাশি জিমন্যাস্টিক সহকারে বাঁশের ওপর এই শিল্পের প্রদর্শনী তুলে ধরা হয়। গোকর্ণের এই যুবকেরা প্রতিটি রায়বেঁশে শো পিছু ৩০ হাজার টাকা করে সাম্মানিক নিয়ে থাকেন। এ প্রসঙ্গে ওই শিল্পীরা বলেন ‘খাপছাড়া’ কাব্য গ্রন্থে রায়বেঁশে নাচ-এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রায়বেঁশে বা রায়বেশে নাচে মুগ্ধ হয়েছিলেন কবি। তিনি বলেছিলেন, “এ রকম পুরুষোচিত নাচ দুর্লভ। আমাদের দেশের চিত্তদৌৰ্ব্বল্য দূর করতে পারবে এই নৃত্য।” বাস্তবিক এই নৃত্য দেখলে এটাকে নটরাজ শিবের রণতাণ্ডব নৃত্যের অবিকল প্রতিরূপ বলে মনে হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
‘রায়’ কথাটির অর্থ বড় বা সম্ভ্রান্ত। ‘বেঁশে’-এর অর্থ বাঁশ ব্যবহারকারী বা বাঁশ থেকে তৈরি। বাঁশের তৈরি শক্ত লাঠি নিয়ে ভয়ঙ্কর রোমহর্ষক নাচ হল রায়বেঁশে। ডোম এবং অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষরাই মূলত এই সংস্কৃতির প্রধান ধারক। তাঁদের শারীরিক সক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে ভূস্বামীরা সেকালে স্বীকৃতি দিতেন। মূলত মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ও খড়গ্রামে প্রথম উৎপত্তি হয় রায়বেঁশে’র। এই প্রাচীন লোকসংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে বর্তমানে গোকর্ণে জেলা রায়বেঁশে অ্যাকাডেমি চালু হয়েছে।
কৌশিক অধিকারী