স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরবেলা হঠাৎ করেই ওই যুবকের বাড়ি থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকে দেখেন, ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে এক নাবালক এবং তার পাশেই রয়েছে যুবক, সেও রক্তাক্ত ও আহত।
ইঞ্জিন সারানো হয়েছিল সদ্য! ত্রুটি প্লেনের নয়…১৯ জন মৃত যাত্রীর DNA টেস্টের পর বড় তথ্য ফাঁস!
advertisement
ঘটনার খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং আহত দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাতার হাসপাতালে ও পরে গুরুতর অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নাবালকের বাবা-মা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। গ্রামে সে দাদুর সঙ্গেই থাকে। প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক অত্যন্ত সখ্যের, সে কারণে প্রায়ই রাতে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে ঘুমাত নাবালক। গত রাতেও সে যুবকের বাড়িতে ছিল। এরপরই আজ সকালে তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
তবে কী কারণে এই ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নিজেদের মধ্যে কোনো ব্যক্তিগত বিবাদ, না কি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো জটিলতা—তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে ভাতার থানার একটি বিশেষ টিম।
পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “দুইজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তারা সুস্থ হলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। আপাতত এলাকা থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়ালেও এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে এবং স্থানীয়দের শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।