এইখানকার পাকানো বেল পৌঁছে যায়, জেলা, রাজ্য তথা ভিন রাজ্যের বিভিন্ন বাজারেও। কাঁচা বেল পাকানোর পদ্ধতি অন্যান্য ফলের মতো নয়। এর পদ্ধতি অনেকটাই আলাদা৷ বাড়ির সামনে বড় উঠোনে মাটির তলায় গুহার মত বড় গর্ত করা হয়। ওই গুহায় সারি সারি বেল রাখা হয়৷ এক একটা গুহায় প্রায় তিন হাজার বেল ধরে। গুহার উপর ছোট ছোট গর্ত করা হয়৷ গোবরের ঘুঁটে ভেঙে তুষ মিশিয়ে গুহার ভিতরে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ভাবেই জ্বলতে থাকে সাত দিন। তারপর বেল বের করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : বিশ্বমঞ্চে তুলি-কালি-কলমে বাজিমাত বঙ্গসন্তানের! ব্রাজিলের জাদুঘরে সম্মানিত হবেন বাঁকুড়ার ‘বঙ্কু ডাক্তার’
এই সাতদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে মাটির গুহার উপরের ঢাকনা খুলে দেখে নেওয়া হয়, যে বেলগুলিতে রঙ ধরেছে কিনা৷ শুধু যে আগুনের তাপে বেল পাকছে তেমনটা নয়, ঘুটে ও তুষের সঙ্গে কার্বাইডও ব্যবহার করা হয়। এতে বেলের পাকা রঙ আসে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বেল পাকানোর ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের কাছে প্রথমে কাঁচা বেল আসে৷ সেই বেলগুলি ভাল করে ধুয়ে নিয়ে পাকানোর পদ্ধতি চলে।
জানা গিয়েছে, বেল আসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। রাজ্যের বাইরে থেকেও আসে, কিন্তু পাকানোর পর বেল বেশির ভাগ চলে যায় কলকাতার বাজারে। উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগর বিধানসভার রন্ধনগাছা এলাকার প্রায় ৩০০ পরিবার এই ব্যবসায় যুক্ত৷ এক একটি বাড়িতে প্রচুর কর্মচারীও কাজ করেন। এভাবেই কাঁচা বেল পাকিয়ে সংসার চলে রন্ধনগাছা গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের।