শিখরপুরের মাঠে দেখা মিলল রউফ মোল্লার। বছর তিরিশের রউফ জলের পাইপ নিয়ে সিলেকশান ঘাসের জমিতে জল দিচ্ছিলেন(North 24 Parganas News)। কাজ করতে করতে তিনি জানালেন, '১২ বছর ধরে শুধু ঘাস চাষ করছি। আমার কাকা, জ্যাঠারাও এই চাষ করেন। সারা বছরই ঘাস চাষ করা যায়। ঝড়, বৃষ্ঠি, খারাপ আবহাওয়াতেও ঘাসের কোন ক্ষতি হয়না। সারা ভারতবর্ষে তো বটেই, বিদেশেও এর বিপুল চাহিদা। ঘাস চাষ করেই আমাদের রুটি রুজি চলে।'
advertisement
রউফ আরও জানালেন, এক বিঘা জমিতে সিলেকশান ঘাস চাষ করতে দু হাজার টাকার মাটি, পাঁচ হাজার টাকার প্লাস্টিক, ছ’হাজার টাকার সার এবং সাত হাজার টাকার শ্রম খরচ হয়। সব মিলিয়ে বিশ হাজার টাকা মত খরচ। দু সপ্তাহের মধ্যেই সেই ঘাস কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: ধার মেটাতে কিডনি বিক্রি! কেজিএফ-এর সঙ্গীত পরিচালক রবি বাসরুর জীবন কাহিনী কাঁদাবে!
নার্সারির চাষিরা আড়াই বাই চার ফুট অর্থাৎ ১০ ফুটের ছোট ছোট কার্পেট তৈরি করেন। সেগুলিই রোল করে বড় বান্ডিল করেন৷ তারপর গাড়ি বোঝাই করে ভিন রাজ্যে চলে যান চাষিরা। বিক্রি হয় চড়া দামে। মাঠ থেকে যে কার্পেট সরাসরি তিন থেকে চার টাকা বর্গফুট দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে, তা রিটেলে বিক্রি হচ্ছে দশ টাকা বর্গফুট দরে। রাজারহাটের এক নার্সারি বিশেষঞ্জ অর্জুন সরকার বলেন, "ঘাস চাষে কখনও লোকসান হয় না, এর লাভের অঙ্ক এবং বিশ্ব জুড়ে চাহিদা দুটোই ঊর্দ্ধমুখী। তাই এই অঞ্চলে একজন আরেকজনের দেখে ঘাস চাষে মজেছেন।"
Rudra Narayan Roy