আরও পড়ুনঃ কাঁথিতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা দিব্যেন্দুর গাড়ির, বুকে আঘাত পেলেন সাংসদ
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে সুশান্ত ও প্রিয়াঙ্কা কারও বাড়ি থেকেই তাদের বিয়ে মেনে নেওয়া হয়নি। তাই তারা বাধ্য হয়েই এই বাড়িতে থাকছিলেন। এই বাড়িতে থাকা নিয়ে মাঝে মধ্যেই দিদিমা গঙ্গারানী দাসের সঙ্গে ঝামেলা হত। তাদের নামে একাধিকবার সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গঙ্গারানী দেবী। সেই রাগও ছিল তাদের। প্রিয়াঙ্কার স্বামী সুশান্ত নেশাগ্রস্ত ছিল। কোনও কাজই করত না। দাদু পান্নালাল দাসের ফিক্সড করা টাকার সুদে তাদের সবার সংসার চলত। সেই টাকার কারণেই তাকে খুন করা হয় বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া দিদিমা গঙ্গারানীর কাছে বাচ্চাকে রেখে কোথাও গেলে দিদিমা যত্ন করত না। এইসব একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সুত্রে।
advertisement
ঠাকুমা গঙ্গারানীকে ছাদে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ির বারি মাথায় মেরে খুন করা হয় রাতের বেলায়। দুর্গাপুজো কেটে গেলে বিজয়া দশমীর দুদিন পর এই ঘটনা ঘটে। একইদিনে ভাই মানসরঞ্জন ওরফে বিট্টু দাস কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরেরদিন দুপুরবেলা দুজন মিলে দেহ সেফটিক ট্রাঙ্কে ফেলে দেয়। তারপর নতুন করে সিল করা হয় সেফটিক ট্রাঙ্ক। পরিবারের বা বাইরের কেউ তাদের খোঁজ করতে এলে বিষয়টি চাপা দিতে বিভিন্ন জনকে তারা নানান কথা বলত বলে পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে।