বাংলাদেশ থেকে শুরু করে আজকের পাকিস্তানের পঞ্জাব পর্যন্ত বিস্তৃত জিটি রোড। শের শাহের রাজত্ব উত্তর ভারত, বর্তমান পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত ছিল। তিনি ১৫৪০ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত শাসন করেন এবং তাঁর সাম্রাজ্য বাংলা থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ বলেন,পাঁচ বছর রাজত্ব করেছিল শের শাহ। এই সময়কালের মধ্যে শুধুমাত্র কর্মশক্তির উপর নির্ভর করে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করা সম্ভব না। বাণিজ্যিক প্রয়োজনে সম্রাট অশোক তৈরি করেছিলেন এই রাস্তাটি। পাণিনির গ্রন্থেও এই রাস্তার উল্লেখ রয়েছে উত্তরাপথ নামে। এমনকি মেগাস্থিনিস এই পথ দিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তিনি এই রাস্তার নাম দিয়েছিলে ‘রাজকীয় রাস্তা’। এর থেকেই বোঝা যায় শের শাহ-র আমলের আগে থেকেই এই পথের অস্তিত্ব রয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় তিনি রাস্তাটি তৈরি করেননি। তাঁর রাজত্বের মধ্যে এই রাস্তাটির যে অংশটি পড়ে সেটি তিনি পরবর্তী সময়ে সংস্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে ইংরেজরা এই রাস্তার নাম দেন গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড।
advertisement
আরও পড়ুন : সপ্তাহান্তের লম্বা ছুটিতে শান্তিনিকেতনে যাচ্ছেন? জেনে নিন পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ নিয়ে
গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড কেবল একটি রাস্তা নয়, এটি হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের দীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য থেকে শুরু করে শের শাহ এবং ইংরেজদের হাত ধরে এই রাস্তাটি ধীরে ধীরে নতুন রূপ পেয়েছে, যা আজও দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগের মেরুদণ্ড হিসেবে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে চলেছে।