বাজারে এসে রাজ্যপাল প্রথমে সব্জি,মাছ ও ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চান। এরপর ফল বাজারে গিয়ে ফলের দাম জানার পাশাপাশি ফল কেনেন তিনি। এরপর যান বেনাচিতির মাছ বাজারে। পল্টু ধীবর নামের এক মাছ ব্যবসায়ী রাজ্যপালের গলায় রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে তাঁকে সম্মান জানান। রাজ্যপাল এদিন বাজারের একাধিক সব্জি বিক্রেতা ও বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর একটি চায়ের দোকানে চা পান করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ স্কুলের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার! বিদায় ভাতার টাকা দিয়ে যা করলেন… গর্বিত সকলে!
ফলের পাশাপাশি এদিন আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, বরবটি সহ নানা সবজি বাজার করেন রাজ্যপাল বোস। হঠাৎ তিনি বেনাচিতি বাজারে আসায় অবাক হয়ে যান ব্যবসায়ী, ক্রেতারা। রাজ্যপালকে সরাসরি দেখতে ভিড় করেন আমজনতা। ওই বিশেষ মুহূর্তকে মোবাইলফোনে ক্যামেরাবন্দি করতে শুরু করেন অনেকে।
যদিও এই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্যপাল দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে লোকালয়ে এসেছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ী থেকে জনসাধারণের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন তিনি। এদিন বাজারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “বাজারটি নিজের চোখে দেখতে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা, ভাবনাচিন্তা ও অনুভূতি বুঝতে এসেছি। ছোট বিক্রেতাদের সমস্যার কথা সরাসরি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে এসেছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাজ্যপাল আরও জানান, এই ধরণের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এমন কিছু শিক্ষালাভ করেন যা রাজভবনকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি সহজ করে তুলবে এবং এটিকে ‘জন রাজভবনে’ পরিণত করবে। সরাসরি কথা বলার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পরিস্থিতির আসল চিত্র বোঝা যায়, যা সরকারি কর্মকর্তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের থেকে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।
দীপিকা সরকার