পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বিডিও-র অজান্তেই সরকারি পোর্টালে ঢুকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বাতিল করে দেওয়া হল। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা নিয়ে ধন্দে জেলা প্রশাসন। পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছে জেলা প্রশাসন। বিডিও এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সূত্রের খবর, মেমারি গ্রামীণ হাসাপাতালের বহির্বিভাগের অতিরিক্ত ভবন তৈরির জন্যে সাংসদ শর্মিলা সরকার তাঁর তহবিল থেকে ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। সেই কাজের জন্যে ২৫ এপ্রিল সরকারের নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে দরপত্র ডেকেছিল ব্লক। ১৪ মে দরপত্র খোলা হলে মেমারির পাওয়ার হাউস পাড়ার এক ঠিকাদার কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন ১৫ মে দরপত্র বাতিল বলে পোর্টাল থেকে মেসেজ পাঠানো হয়।
advertisement
১৫ মে দুপুর ২টো ৩১ মিনিটে একটি আইডি তৈরি করা হয়। ২টো ৩৮ মিনিটে ‘ডিজিটাল সিগনেচার সার্টিফিকেট’ (ডিএসসি)-র মাধ্যমে দীপান্বিতা মণ্ডল নামে একজন ওই দরপত্রটি বাতিল করে দেন। দীপান্বিতা নামে কারও খোঁজ ওই পোর্টালের সহায়তা কেন্দ্র দিতে পারেনি। জেলাও জানিয়ে দিয়েছে,দীপান্বিতা নামে জেলার কোনও আধিকারিক নেই। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান,দরপত্র বিডিও মেমারি ১ ডেকেছিল। বাতিল করার ক্ষমতা একমাত্র বিডিওরই আছে।সেখানে তৃতীয় পক্ষ ওই পোর্টালের ভেতর ঢুকে কী ভাবে দরপত্র বাতিল করল? সেই জবাব এখনও প্রশাসন পায়নি বলেই সূত্রের খবর। আধিকারিকরা মনে করছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই সরকারের গোপন পদ্ধতির শৃঙ্খলকে ভেঙে দিয়েছে। এ ভাবে প্রতারকরা নানা সরকারি তথ্য ও নথি পরিবর্তন করে দিতে পারে। জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, ‘পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।’
