পূর্ব বর্ধমান জেলায় ইতিমধ্যেই ৩৫৯ জন বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র বর্ধমান শহরেই এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন তেতাল্লিশ জন। ব্যাপকভাবে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরা বলছেন, এখন অফিসে আসতে ভয় হচ্ছে। রাস্তাঘাটে কখন যে শরীরে করোনার সংক্রমণ ঢুকবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার ওপর সরকারি অফিসগুলোতে বাসিন্দাদের ভিড় রয়েছে। প্রশাসনের নানা তৎপরতা সরকারি কর্মীদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। জেলাশাসক সহ পদস্থ আধিকারিকরা সাধারণ বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলাশাসক ভিডিও কনফারেন্সে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সাড়ছেন। এসব দেখে সংক্রমনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন বর্ধমানের সরকারি কর্মচারীদের অনেকেই।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, সরকারি কর্মীরা কেও করোনায় আক্রান্ত কিনা তা জানতেই বিশেষভাবে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্ধমান কোট কম্পাউন্ডে বিভিন্ন সরকারি অফিস রয়েছে। তাই সরকারি কর্মীদের সুবিধার কথা ভেবে সেখানে সংস্কৃতি লোকমঞ্চ সামনে শিবির তৈরি করে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে কাউকেই জোর করা হচ্ছে না। সরকারি কর্মীরা নিজে থেকে ইচ্ছা প্রকাশ করলে তারা ওই শিবিরে গিয়ে লালা রসের নমুনা জমা দিয়ে নিজেরা করোনা সংক্রমিত কিনা তা জেনে নিতে পারবেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও এভাবে কর্মী অফিসারদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতে ইতিমধ্যেই কয়েক জন পুলিশ কর্মী অফিসার করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট মিলেছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় বলেন, সোমবার থেকে বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চ সরকারি কর্মচারীদের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ জন্য ইচ্ছুক কর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই নমুনা বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা করা হবে। যেসব কর্মীরা ওই শিবিরে গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন তাদেরই পরীক্ষা হচ্ছে। সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত পঞ্চাশ জন সরকারি কর্মীর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এই শিবির চালানো হবে। সেখানে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছে করলেই পরীক্ষা করাতে পারবেন।