রবিবার নবজাগরণের কান্ডারির জন্ম বর্ষপূর্তিতে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য হেরিটেজ সাইটের ফলকটির উন্মোচন করেন।পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের তরফ থেকে দুইটি ঐতিহ্যের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। একটি হল তার রাধানগরের জন্মভিটে। যেটি ১৯১৬ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নকশায় তৈরি করা হয়। বর্তমান নাম 'রামমোহন মেমোরিয়াল হল' । এবং অন্যটি তাঁর রঘুনাথপুরের বাড়িটি।
advertisement
খানাকুলের স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাজা রামমোহন রায়ের বাড়িটি যাতে হেরিটেজ সাইট ঘোষনা করা হয় এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তাদের দীর্ঘদিনের লড়াই অবশেষে সফল হল।
রাজা রামমোহন রায় ছিলেন নবজাগরণের প্রতীক। তিনি হিন্দুদের সতীদাহ প্রথার মতন ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। কিন্তু তার জন্মভিটে খানাকুলের বাড়িটি দীর্ঘকাল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছিল। অবশেষে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধায়নে হেরিটেজ সাইট হবার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হুগলির জেলাশাসক পি দিপাপ্রিয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান সাংসদ অপরুপা পদ্দার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের শুরুতে এদিন সকালে খানাকুলে রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থানে সুসজ্জিত একটি পদযাত্রা আয়োজন হয়, তার মূর্তিতে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।এদিন ফলক উন্মোচন করে রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য জানান , "দেরি হলেও আজকে যে স্মারক রাখতে পেরেছি তাতে আমরা গর্বিত। এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের বাজেট বা পদ্ধতিগতভাবে সংরক্ষণের চেষ্টা করা হবে।"
তিনি আরো জানান, পাঠাগার সহ নানা বিধ উন্নয়নের চেষ্টাও করবে রাজ্য সরকার। তিনি আশ্বাস দেন নবজাগরণের প্রথম মানুষটির জন্মদিন যাতে সরকারি ক্যালেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি জানাবেন।