সকাল হলেই রাস্তায় নামে বহু মানুষ। সরকারি বা বেসরকারি, অফিস বা পড়াশোনার কাজে যোগ দিতে হবে, তাই যোগাযোগের ভরসা সেই বাস। ফলে ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যে। রেলের এই অচলাবস্থার জেরে ক্রমশ কদর বাড়ছে বাসের। তবে তার জন্য কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ঝাড়গ্রাম স্টেশনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রাম স্টেশন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অমৃত ভারত স্কিমে। ফলে মূলত রেল স্টেশনগুলিকে আরও পরিচ্ছন্ন করার জন্য, আরও বেশি আরামদায়ক করার জন্য অমৃত ভারত স্কিম চালু করেছে ভারত। সেখানে থাকবে টয়লেট, লিফট, এসক্যালেটর, ওয়াই ফাই, লাউঞ্জ, এমনকী বিজনেস মিটিং করারও জায়গাও।
advertisement
আরও পড়ুন- জুন মাসে একই রাস্তায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯…! এবার সেই জাতীয় সড়ক নিয়ে বড় পদক্ষেপ
ঝাড়গ্রাম ছাড়াও বেশ কিছু স্টেশনকে এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর স্টেশনগুলির নির্মাণ কার্য ও মেটেনেন্সের জন্য বেশ কিছু ট্রেনের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন গুলিও বেশ কিছুটা সময় দেরিতে আসছে। ফলে যাত্রীদের সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন চাকুরীজীবী ও পড়ুয়ারাও ট্রেন দেরি থাকায় স্কুল-কলেজ ও অফিসে পৌঁছতে বাসের উপরই ভরসা করছেন।
বর্তমানে অনেকেই ট্রেন ছেড়ে বাসের উপর বেশি নির্ভর করছেন। সাধারণের দাবি, সময় মত গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বাড়ির কাছে স্টেশন থাকলেও আমরা বাসেই যেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ ট্রেনের উপর কোনও ভরসা নেই। কখন আসবে অপেক্ষা না করে বাসে যাতায়াত করি। অনেকেই ঝাড়গ্রাম থেকে খড়গপুর ট্রেনে করে যান। আবার অনেকেই খড়গপুর থেকে ঝাড়গ্রামে আসেন ট্রেনে। প্রতিনিয়ত ট্রেন দেরিতে চলার জন্য তাদের বাসের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের খরচও বাড়ছে।
ঝাড়গ্রাম থেকে বেড়েছে সরকারি বাসের সংখ্যা। ঝাড়গ্রাম ডিপোতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় সংস্থার বাসের সংখ্যা প্রায় ২২ টির কাছাকাছি। অমৃত ভারত স্কিমের স্টেশনগুলো সাজিয়ে তোলার কাজ সম্পন্ন হলে এবং নিয়মিত ট্রেন চললে সাধারণ মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবেন।
তন্ময় নন্দী