অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষিকা রুম্পা সরকার কিছু জানবার জন্য অধ্যক্ষের ঘরে যান । সে সময় তাঁকে চরম অশালীন ভাষায় অপমান করা হয় । সেই কথা শুনে অধ্যক্ষের ঘরেই জ্ঞান হারান ওই শিক্ষিকা । এর পর অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ।
advertisement
এরপর তাঁরা ১১ জন শিক্ষক শিক্ষিকা কলেজের অভিযুক্ত অধ্যক্ষ বসন্ত খামরুইয়ের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন মন্তেশ্বর থানায় । তাঁদের অভিযোগ, অধ্যক্ষের অশালীন ভাষায় অপমান, দুর্ব্যবহার ও মানসিক নির্যাতন রুটিনমাফিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন : রাজারানির মূর্তিতে নাকি ঢেকে যায় লর্ড কার্জনের ইতিহাসের মুখ? তরজা তুঙ্গে বর্ধমানে
তবে এই অভিযোগ মানতে নারাজ অধ্যক্ষ বসন্ত খামরুই । সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন । বরং পাল্টা অভিযোগ, ওই শিক্ষক-শিক্ষিকারাই প্রতি মুহূর্তে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অশালীন ব্যবহার করেন। কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে কলেজের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষিকা রুম্পা সরকার দুর্ব্যবহার করেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের কথায়, ‘‘ওই শিক্ষিকাকে চলে যেতে বলা হয় । তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমিই হাসপাতালের চিকিৎসককে বিষয়টি জানিয়েছিলাম ।’’
আরও পড়ুন : পড়শি যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ, বিদ্যুতের পোস্টের সঙ্গে বেঁধে গণপ্রহার বধূকে
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । দীর্ঘ দিন ধরেই এই সমস্যা চলছে । অভিভাবকরা বলছেন, পড়ুয়াদের কাছে এটা যে ভাল দৃষ্টান্ত নয়, তা শিক্ষক শিক্ষিকাদের মনে রাখা উচিত।