সুন্দরবনের গোসল ব্লকের বিভিন্ন দিকের যেসব নদীর বাঁধগুলি রয়েছে, সেই বাঁধ ভেঙে বা নদীর জল উঠছে এলাকায় না প্রবেশ করে, সেই দিকে নজর রয়েছে সেচ দফতরের। পাশাপাশি নজর রয়েছে প্রশাসনেরও। তবে যেভাবে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে, ভয় বাড়ছে এলাকাবাসীর মনে। অন্যদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল জলস্ফীতি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে যখন তখন এলাকায় জল ঢুকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : তিন বন্ধুর এক অদ্ভুত প্রতিজ্ঞা! সপ্তাহে একদিন এমন কাজ করেন, বদলে যাচ্ছে পুরো রাস্তার ছবি
সেই কারণেই যথেষ্টই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন গোসাবা ব্লকের মানুষজন। রাতে সেচ দফতরের পক্ষ থেকে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে। সেচ দফতর এলাকার ক্ষতি আটকাতে তৎপর। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে কতক্ষণ এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষ। সকলেই বলছেন, এলাকায় একবার জল ঢুকতে শুরু আর রক্ষে থাকবে না। তাই নদীবাঁধ যাতে না ভাঙে সেই প্রার্থনা করছেন সবাই।
আরও পড়ুন : এবার লক্ষ্মীপুজোতেও থিম! কিন্তু ‘অগ্নিগর্ভা’-র আসল বার্তা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় প্লাবন দেখা দিয়েছে। ছোট বড় বিভিন্ন নদী ফুঁসছে। পুজো মিটতে না মিটতেই উত্তরবঙ্গে দেখা গিয়েছে ভয়ঙ্কর প্রলয়ের ছবি। যা দেখে মানুষজন রীতিমতো আতঙ্কিত। তাই বাঁধগুলির দিকে তাকিয়ে কার্যত বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন মানুষ।